বাংলাদেশ ছিল প্রায় সম্পূূর্ণ রূপে একটি কৃষিনির্ভর দেশ। মানুষের কর্মসংস্থানও ছিল মূলত কৃষি ক্ষেত্রে। যেহেতু কৃষিজমি বাড়ছে না, তাই বর্ধিত জনসংখ্যার কর্মসংস্থানের জন্য কৃষিবহির্ভূত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিস্তৃত করার প্রয়োজন দেখা দেয়। অতীতে সেই প্রক্রিয়াটি যথাযথভাবে না এগোনোয় বেকারত্বের হার অনেক বেড়ে গিয়েছিল। তরুণ-যুবকরা বাধ্য হয়েছিল ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রযাত্রা কিংবা অন্যান্য উপায়ে বিদেশে পাড়ি জমাতে। সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধভাবে বিদেশযাত্রার সেই ধারা কিছুটা হলেও কমে এসেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে উল্লেখযোগ্য হারে বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। ক্রমান্বয়ে এর গতি বাড়ছে। সেই সঙ্গে দেশি বিনিয়োগও বাড়ছে। বর্ধিত কর্মসংস্থানের স্বার্থে সরকারকে শিল্পায়নের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। সেবা খাতসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও যাতে দ্রুত বিকশিত হয় তার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতির আরো উন্নয়ন করতে হবে। তাহলে নিকট ভবিষ্যতে দেশে বিনিয়োগ আরো গতি পাবে, সেই সঙ্গে বাড়বে কর্মসংস্থানের হারও।দেশে শিক্ষিতের হার শতকরা ৭০ শতাংশের মতো হলেও মোট জনশক্তির প্রায় এক-তৃতীয়াংশই বেকার। যাদের অধিকাংশই শিক্ষিত, স্বল্পশিক্ষিত, কিংবা অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন। প্রতি বছর বাংলাদেশে গড়ে গ্র্যাজুয়েট বের হচ্ছে লক্ষাধিক, যাদের বেশির ভাগের কর্মসংস্থান হয় না। ফলে বাড়ছে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যাও। পরিসংখ্যান মতে, বর্তমানে বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা প্রায় দুই কোটি। এমনিতেই বিশ্ব মন্দা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার প্রেক্ষাপটে সারাবিশ্বেই কর্মসংস্থান সংকুচিত হচ্ছে। দেশে কর্মসংস্থান যে হারে বাড়ছিল তা হ্রাস পেয়েছে নানা কারণে। তাই অনেকে শ্রম বেচতে বাইরে যেতে বাধ্য হচ্ছে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের নানা অস্থিরতার কুফল যেসব দেশ ভোগ করছে বাংলাদেশ তার অন্যতম।
সারাবিশ্বে প্রায় দেড় কোটি বাংলাদেশি নাগরিক কর্মসংস্থানের কারণে বসবাস করছে। এর মধ্যে মালয়েশিয়ায়ই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক। তাই বলা যায়, সার্বিক পরিস্থিতি যে কতটা ভয়াবহ তা সহজেই অনুমেয়। পরিস্থিতির অবনতি রোধে সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগ কোনোটাই মূলত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। ফলে বৃহৎ এই জনগোষ্ঠী সম্পদ নয়, রাষ্ট্রের বোঝা হিসেবেই ভাবা হচ্ছে।কিন্তু এই অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হওয়া সঠিক হবে না। তাই অন্যের মুখাপেক্ষী না হয়ে সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। নিজেদের সম্পদ কাজে লাগিয়ে দেশেই কর্মসংস্থানের পথ খুঁজতে হবে। সময়টা তথ্যপ্রযুক্তির। তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারের ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ পাচ্ছেন এ দেশের যুবকরা। অনেকেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজের ক্ষেত্র গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছেন। ফলে সমাজে সম্ভাবনার ক্ষেত্র আরো সম্প্রসারিত হচ্ছে। আসলে যুবসমাজই হচ্ছে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত আধুনিক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রধান চালিকাশক্তি। অথচ উন্নয়নের একটি প্রধান শর্ত হচ্ছে কর্মসংস্থান। আর এই কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজন দেশে শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক কর্মকা- বৃদ্ধি। বিগত বছরগুলোয় দেশে অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও বেড়েছে। বাংলাদেশকে অপার সম্ভাবনার দেশ হিসেবেই দেখছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। তিন দশক আগে তারা চীনের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার মূল্যায়ন করে সে দেশের শিল্প খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে যায়। পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তারা চীনের ওপর নির্ভরতা কাটিয়ে ওঠার জন্য দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরো কিছু দেশের দিকে নজর রাখছে। গ্রহণ করেছে চায়না প্লাস ওয়ান কৌশল। চীনের সঙ্গে আরো একটি দেশকে বেছে নেওয়ার এই কৌশলে বাংলাদেশ রয়েছে অগ্রাধিকারের তালিকায়।
চীনে গত তিন দশকে শ্রমের মূল্য বেড়েছে বিপুলভাবে। বাংলাদেশে শ্রমের দাম এখনো সস্তা হওয়ায় বিনিয়োগ কারীরা বাংলাদেশকে চীনের বিকল্প হিসেবে ভাবছে। ভৌগোলিক দিক থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যোগসূত্র বাংলাদেশ। এ দেশের একদিকে বিশাল ভারত, অন্যদিকে মিয়ানমার, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। বাংলাদেশের এই সম্ভাবনার বিষয়ে দুই বছর আগে প্রণীত জাইকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সস্তা শ্রমের পাশাপাশি দেশটিতে শ্রমিকও সহজলভ্য। ভিয়েতনাম এবং কম্বোডিয়ার তুলনায় জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় অভ্যন্তরীণ চাহিদাও বেশি। ইংরেজি ভাষাতে সহজে যোগাযোগ করাও যায় এ দেশে। এ ছাড়া স্থিতিশীল জিডিপি প্রবৃদ্ধি, গার্মেন্ট এবং চামড়াশিল্পে অগ্রগতি, মধ্যম আয়ের ভোক্তার সংখ্যা বৃদ্ধি, আকর্ষণীয় বাজার, পানির সহজ লভ্যতা, কম খরচে মুঠোফোনে যোগাযোগের সুযোগ থাকায় পশ্চিমা উদ্যোক্তারা বাংলাদেশকে বিদেশি বিনিয়োগের পছন্দের তালিকায় রেখেছে। উন্নয়ন নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করা মানুষদের কপালে ভাঁজ ফেলে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও সম্ভাবনার দিগন্তে সাফল্যের পতাকা উড়িয়ে দেশ অব্যাগত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিএমআই রিসার্চের মতে আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশ হয়ে উঠবে বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নতুন চালিকাশক্তি। বিএমআই রিসার্চ মনে করছে, ২০২৫ সালের মধ্যে এই ১০টি দেশ সম্মিলিতভাবে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ৪ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন অর্থাৎ চার লাখ তিন হাজার কোটি ডলার যোগ করবে, যা বিনিয়োগকারীদের বড় সুযোগ এনে দেবে। উল্লিখিত অর্থ জাপানের বর্তমান অর্থনীতির সমান। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার যে সম্ভাবনা বাংলাদেশের সামনে হাতছানি দিচ্ছে তাকে কাজে লাগাতে হলে রাজনৈতিক সংঘাতের অবসানের পাশাপাশি জঙ্গিবাদের শেকড় উৎপাটনেও যত্নবান হতে হবে।
এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে সম্ভাবনাময় দেশের বদলে ব্যর্থ রাষ্ট্রের অভিশাপ যে জাতির জন্য অনিবার্য হয়ে উঠবে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এ বিপদ ঠেকাতে পেশাদারিত্বের মনোভাব দিয়ে জঙ্গিবাদ দমনের প্রয়াস চালাতে হবে।বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গড়তে দেশের এই বিশাল শক্তির উপযুক্ত ব্যবহার হওয়া দরকার। এরাই নিজেদের মেধা ও মনন শক্তি ব্যবহার করে নির্ধারণ করবে দেশের আগামী দিনের চলার পথ। সত্তর দশকের ষড়যন্ত্রমূলক তলাবিহীন ঝুড়ি, নব্বই দশকের বিশ্ব পরিমন্ডলে তুলনামূলক অচেনা বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী এক বিস্ময়ের নাম। উন্নয়ন নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করা মানুষের কপালে ভাঁজ ফেলে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও সম্ভাবনার দিগন্তে সাফল্যের পতাকা উড়িয়ে দেশ অব্যাগত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোতে দক্ষ ও অতি দক্ষ জনসংখ্যা ৫০ শতাংশের বেশি করার চেষ্টা থাকে। জার্মানিতে প্রায় ৭৩ শতাংশ জনসংখ্যা দক্ষ। জাপানে ৬৬, সিঙ্গাপুরে ৬৫, অস্ট্রেলিয়াতে ৬০, চীনে ৫৫, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৫০, মালয়েশিয়ায় প্রায় ৪৬ শতাংশ শিক্ষার্থী কারিগরি মাধ্যমে অধ্যয়ন করেন। বিপরীতে বাংলাদেশে সার্বিকভাবে স্বল্প দক্ষ ও দক্ষ জনশক্তি ৩৮ শতাংশ বলা হলেও কারিগরিভাবে দক্ষ, মধ্যমানে দক্ষ জনশক্তি মাত্র ১৪ শতাংশ। আন্তর্জাতিক কারিগরি শিক্ষার সংজ্ঞা ও বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এটি মূলত ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ। সরকারের দেওয়া (কারিগরি শিক্ষার্থীদের) হার সঠিক নয়। কারণ, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এক নয়। বৃত্তিমূলক শিক্ষার পরের ধাপ কারিগরি শিক্ষা। সরকার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে এক করে হিসাব করছে, এতে কারিগরির প্রকৃত চিত্র উঠে আসছে না। বৈশ্বিক বাস্তবতায়, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চাহিদায় সাড়ে ৮ থেকে ১৪ শতাংশ কারিগরি শিক্ষার্থী একেবারেই অপ্রতুল।
জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, দেশের ২৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সী মানুষের মধ্যে মাত্র ৬ দশমিক ৩ শতাংশের কোনো বিশেষ বিষয়ে দক্ষতা রয়েছে। আর ৫৩ শতাংশ স্বল্প দক্ষ এবং ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ একেবারেই অদক্ষ। দক্ষতার এমন সংকট সমাধানে স্বল্প মধ্য এবং দীর্ঘ মেয়াদে সরকার ও তার উপদেষ্টাদের কোনো মাস্টারপ্ল্যান আছে কি? নতুন যে শিক্ষাক্রম নিয়ে কাজ করছে সরকার, তা কি দক্ষতার সংকট সমাধান করবে? মানসম্পন্ন শিক্ষক ও শ্রেণি শিক্ষাদান পদ্ধতি তৈরি না করে শুধু সিলেবাস পরিবর্তন কোনো কাজে আসবে?কর্মসংস্থান ও কর্মদক্ষতা তৈরির বাজেটীয় কৌশল গুরুত্বপূর্ণ। বেকারত্ব ডেটাবেইজ দরকার, সর্বজনীন বেকার ভাতা দরকার। সবশেষে, বর্তমানে দ্রব্যমূল্য, উচ্চ জ্বালানি মূল্য, উচ্চ মূল্যস্ফীতির সমস্যাটিও প্রকট। শহরে দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি ভয়াবহ। শহরের নিম্নবিত্ত মানেই টিসিবি ট্রাকের পেছনে দীর্ঘ কর্মঘণ্টা নষ্টের মিছিল, গ্রামের মোটামুটি জীবন ফেলে এই বিভীষিকাময় অনিশ্চিত জীবনে কে ফিরতে চায়? সানেম জরিপে সরকারের মূল্যস্ফীতিকে চ্যালেঞ্জ করে বলা হচ্ছে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি সরকারি হিসাবের দ্বিগুণ। পত্রপত্রিকার প্রতিবেদন এবং বেসরকারি হিসেবে দেখা যাচ্ছে, মূল্যস্ফীতি ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। এমন উচ্চ ব্যয়ের ভয় থেকে গ্রামীণ শ্রমিকের শহরে ফেরা অনিশ্চিত। সরকার সঠিক নীতি কৌশল না নিলে, গ্রামের শ্রমিক না ফেরাতে পারলে শিল্পশ্রমের তাৎক্ষণিক জোগান সহজ হবে না। তাই কর্মসংস্থান ও কর্মদক্ষতায় মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন জরুরি।শ্রমঘন শিল্পের ওপর জোর দিলে শ্রমবাজারে যোগ দেওয়া বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায়। স্বল্প সুদে ঋণ, উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধনে প্রশিক্ষণ, শিল্পপার্ক স্থাপনে কার্যকর উদ্যোগ নিলে সম্প্রসারণ হবে। শ্রমিকের দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষার ওপর জোর দেয়া জরুরি।
অতিমারি জীবন, জীবিকা ও অর্থনীতির যে অভূতপূর্ব ক্ষতি করেছে, বাজেটে তা থেকে উত্তরণে পর্যাপ্ত রূপরেখা এ কারণেই অনুপস্থিত। উন্নয়নবিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদদের মতে চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে তরুণ জনগোষ্ঠীকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে। বাংলাদেশের সামনেও সোনালি ভবিষ্যৎ হাতছানি দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সফল হবে কিনা তা নির্ভর করছে সৃষ্ট সুযোগ কতটা কাজে লাগানো যাবে তার ওপর। বাংলাদেশের জন্য এ মুহূর্তে সমস্যা হলো জনগোষ্ঠীর এক বিরাট অংশ বেকার। যুব জনগোষ্ঠীর একটি অংশ অভিভাবকদের আয়ের ওপর নির্ভরশীল। যুবসমাজের কর্মসংস্থানের যথাযথ পদক্ষেপ যেমন দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করবে তেমন এ ক্ষেত্রের ব্যর্থতা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। দেশের সোনালি ভবিষ্যতের স্বার্থেই কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে গতি আনার উদ্যোগ নিতে হবে। কিন্তু এই অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হওয়া সঠিক হবে না। তাই অন্যের মুখাপেক্ষী না হয়ে সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। নিজেদের সম্পদ কাজে লাগিয়ে দেশেই কর্মসংস্থানের পথ খুঁজতে হবে। সময়টা তথ্যপ্রযুক্তির। তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারের ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ পাচ্ছে এ দেশের যুবকরা। অনেকেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজের ক্ষেত্র গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছেন। ফলে সমাজে সম্ভাবনার ক্ষেত্র আরো সম্প্রসারিত হচ্ছে। আসলে যুবসমাজই হচ্ছে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত আধুনিক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রধান চালিকাশক্তি। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গড়তে দেশের এই বিশাল শক্তির উপযুক্ত ব্যবহার হওয়া দরকার। এরাই নিজেদের মেধা ও মনন শক্তি ব্যবহার করে নির্ধারণ করবে দেশের আগামী দিনের চলার পথ।
লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট ।
সিটিজেন টাইমস্/রায়হান আহমেদ তপাদার/সিআর/ইয়ামিন