আশীষ সাহা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
দুই ভাইয়ের মধ্যে জুনায়েদ ছোট। বেশ কর্মঠ। সেই চিন্তা থেকেই তাকে সৌদি আরবে নেওয়ার চিন্তা করেন বাবা হামিদুল ইসলাম। আরো আগে থেকেই তিনি সৌদিতে থাকতেন।
বাবা-ছেলে মিলে সংসারটা নতুন করে সাজাবেন এমন স্বপ্নই ছিল।
বছর না পেরোতেই সৌদির সড়কে পিষ্ট হলো সংসার গোছানোর স্বপ্ন। রবিবার (৬ আগস্ট) সৌদি আরবের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ও বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান জুনায়েদ মিয়া (২২)। কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে তাকে বহনকারী লরি উল্টে তিনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
জুনায়েদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রুটি গ্রামের হামিদুল ইসলামের দ্বিতীয় ছেলে। হামিদুল ইসলাম সেখানকার দাম্মাম শহরের আল ফাহাদ নামে একটি কম্পানিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। প্রায় এক বছর আগে তিনি সেখানে যান।
জুনায়েদের মৃত্যুর খবরে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শোকার্তদের কান্না যেন প্রবল বর্ষণকেও হার মানিয়েছে। স্বজনসহ প্রতিবেশীরা এসে পরিবারের লোকজনকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। জুনায়েদের লাশ দ্রুত দেশে আনার দাবি জানিয়েছেন সবাই।
ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় হাউমাউ করে কাঁদতে থাকা মা তাসলিমা আক্তার জানান, জুনায়েদের সঙ্গে থাকা পাসপোর্ট থেকে নম্বর নিয়ে তাদেরকে মৃত্যুর খবর জানান সেখানে অবস্থানরত এক বাংলাদেশি। পরিবারে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে গিয়ে ছেলের এভাবে চলে যাওয়াটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না তিনি।
দ্রুত ছেলের লাশ দেশে আনতে সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানান।