আশীষ সাহা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে রাতের অন্ধকারে দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধন্তী ইউনিয়নের সাতবর্গ বাস টার্মিনাল এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম মার্কেটে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
গতবুধবার (২৬ জুলাই) গভীররাতে বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের সাতবর্গ বাস টার্মিনাল এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম মার্কেটে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, রাত ২ টার দিকে ১০/১৫ জনের ডাকাতরা মাকের্টে হানা দেয় । এসময় মার্কেটে দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা প্রহরী নুর মিয়া (৬০) কে বেঁধে ফেলে। তখন নুর মিয়া ডাকাতদের সাথে জোড়াজোড়ি করতে গেলে ডাকাতরা তাকে মারধর করে তার একটি দাঁত ফেলে দেয়। পরে নুর মিয়াকে বেঁধে দোকানের তালা কেটে ডাকাতরা মেসার্স আল মদিনা ব্যাটারি এন্ড আইপিএস দোকানে প্রবেশ করে। এসময় দোকানের মালিক মনিরুল ইসলাম মনির দোকানে ঘুমন্ত অবস্থা থাকায় তাকে মারধোর করে তাকেও বেঁধে দোকানের মালামাল ও নগদ টাকা লুটে নেয় ডাকাত দলেরা। ডাকাত দল চলে যাওয়ার পর আত্নচিৎকারের শব্দ পেয়ে আশপাশের লোকজন এসে তাদেরকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
তাছাড়া গত ১৯ শে জুলাই উপজেলার আমতলী বাজারের হৃদয় স্টোর দোকানের গোডাউনে সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙ্গেও দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়,দোকানের মালিক বিষয়টি সাংবাদিক ও পুলিশকে জানিয়ে থানায় অভিযোগ করেন, পুলিশের তৎপরতা না থাকাই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোন ধরনের চোর সনাক্ত করতে পারিনি। এতে দোকানের মালিকরা তাদের গোডাউন নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে কারন চোরের উত্তাপ বেড়ে গেলেও এ পর্যন্ত কোন চোরককে আটক করতে পারেনি থানার পুলিশ। আর আমতলী বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান বাজারে প্রায় সময় চুরি হয় কিন্তু কোন চোরকে পুলিশ আটক না করতে পারায় আজ প্রতিনিয়তি টেনশনে কাটাচ্ছি আমাদের মতো ব্যবসায়ীরা।
বুধন্তী ইউনিয়নের সাতবর্গ বাস টার্মিনাল এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম মার্কেটে এ ডাকাতির ঘটনায় সকালে পুলিশ আসলেও
এ বিষয়ে ইসলামপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ রঞ্জন কুমার ঘোষ বলেন, ওসি স্যার সহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং পুলিশ ঘটনা তদন্তে কাজ করছে।