গাজীপুর প্রতিনিধি
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় হাই-সিকিউরিটি কারাগারে গলায় ফাঁস
নিয়ে গুরুতর আহত ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা
গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান। কয়েদি গোলাম মোস্তফা (৩১) মাদারীপুর
জেলার শিবচর থানার উতরাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
এর আগে,
ওইদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কারাগারের
ভেতর ফাঁস নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত
চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল বলেন, গোলাম
মোস্তফা রাজধানীর ডেমরা থানায় সাড়ে ৪ বছরের ও ৫ বছরের শিশু ধর্ষণের পর হত্যার
মামলায় গ্রেপ্তারের পর তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। ওই মামলায় নারী ও
শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তাকে ২০২০ সালের ১৯ মার্চ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে
মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। পরে ২০২১ সালের জুলাই মাসে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার
থেকে এখানে স্থানান্তর করা হয়।
তিনি বলেন,
তার রুমমেটদের কাছে জানতে পেরেছি দুই
সপ্তাহ আগে তার স্ত্রী ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস নিয়েছে। খবরটি শোনার পর মোস্তফা বেশ
কিছু দিন ধরে হতাশায় ভুগছিলেন। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি
কেন্দ্রীয় কারাগারের বাথরুমে গিয়ে পরনের ট্রাউজারের রশি খুলে গলায় পেঁচিয়ে
বাথরুমের ভেনটিলেটরের রডের সঙ্গে বেঁধে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
এ সময় অন্য বন্দীরা দেখতে পেয়ে কর্মকর্তাদের খবর দেয়।
পরে তাকে উদ্ধার করে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার
অবনতি হলে তাকে জরুরি ভিত্তিতে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো
হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি মারা যান।