গত কয়েকদিনে সারাদেশে বৃষ্টির প্রবণতা অনেকটাই কমে
গেছে। আজও (সোমবার) এ অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে। তাই এ সময়ে দিনের তাপমাত্রা আরও
বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার
(৬ জুন) আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানা গেছে।বৃষ্টি কমে যাওয়ায় ঢাকাসহ
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গরমে কষ্ট পাচ্ছে মানুষ। বৃষ্টি কমে গেলেও থাকছে মেঘের
আনাগোনা। তাই বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে অস্বস্তিকর গরম।
রোববার সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত রংপুর, সিলেট
ও ময়মনসিংহ বিভাগে বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় সবচেয়ে বেশি ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি
হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে। একই সময় রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে তেমন
কোনো বৃষ্টি হয়নি।ঢাকা বিভাগের মধ্যে শুধু নিকলীতে ৫৫ মিলিমিটার, চট্টগ্রাম
বিভাগের মধ্যে ফেনীতে পাঁচ মিলিমিটার,
হাতিয়ায় তিন মিলিমিটার ও কক্সবাজারে
দুই মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক চার ডিগ্রি
সেলসিয়াস ছিলো যশোরে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৫ দশমিক এক ডিগ্রি
সেলসিয়াস।আবহাওয়াবিদ কে এম নাজমুল হক জানান, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর
মোটামুটি সক্রিয় এবং এটি উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
তিনি বলেন,
আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ
ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং
রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ
হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের
উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
এ সময় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে
এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ
নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, ময়মনসিংহ
এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৬০
কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে
যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে এক নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা
হয়েছে।