এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী পদে যোগদান করলেন মোঃ আলি আখতার হোসেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে জারীকৃত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এলজিইডির জ্যেষ্ঠতম অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (গ্রেড-২), এলজিইডি সদর দপ্তর, ঢাকা, মোঃ আলিআখতার হোসেনকে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনি প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিন-এর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
মো ঃ আলিআখতার হোসেন ১৯৬৫ সালে২০ অক্টোবর রাজশাহীর গোদা গাড়ি উপজেলার বিজয় নগর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আলাউদ্দিন মন্ডল এবং মাতার নাম হাজেরা খাতুন। তিনি কৃতিত্বের সাথে ১৯৮০ সালে চাঁপাই নবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর আলী নগর হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৮২ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করেন। ১৯৮৬ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজী (বিআইটি), খুলনা (বর্তমানে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, কুয়েট) থেকে পুর কৌশলে ¯œাতক এবং২০০২ সালে যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম বিশ^বিদ্যালয় থেকে এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ¯œাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
মোঃ আলি আখতার হোসেন ১৯৮৯ সালে ১ জুন তৎকালীন এলজিইবিতে যোগ দিয়ে ৩ জুন ১৯৮৯ থেকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ৩৪ বছরের ও অধিক কালের কর্মজীবনে তিনি উপজেলা প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক পদে দায়িত্ব পালনকরেন। এ সময় তিনি গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অংশ নেন। প্রকল্প পরিচালক পদে তিনি সফলভাবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক সহায়তাপুষ্ট সাসটেইনেবল রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (এসআরআইআইপি) বাস্তবায়ন কাজ সম্পন্ন করেন। তাছাড়া তিনি এলজিইডির বহুপ্রকল্প প্রস্তুত করণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি একজন মেধাবী চৌকস কর্মঠ, দক্ষ ও সৎ প্রকৌশলী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। কর্ম জীবনে তিনি কেয়ার বাংলাদেশ-এর গোল্ডমেডেল এওয়ার্ড ১৯৯৫ এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি থেকে সাসটেইনেবল রুরালইনফ্রাস্ট্রাকচার ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (এসআরআইআইপি)-এর জন্য পর পর তিন বছর (২০১৪, ২০১৫, ২০১৬) বেস্ট প্রজেক্ট এওয়ার্ড অর্জন করেন। এর আগে লিয়েনে থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সারাদেশব্যাপী (বিশ^ব্যাংক সহায়তায়) পিএমটি প্রোগ্রাম অত্যন্ত সাফল্যের সাথে পরিচালনা করেন। তিনি বর্তমানে এলজিইডি’র বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। কুয়েট এ্যালামনি এ্যাসোসিয়েশন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এবং যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম বিশ^বিদ্যালয় এ্যালামনি এ্যাসোসিয়েশন-এর সদস্য। তিনি ঢাকা অফিসার্স ক্লাব এর সদস্য এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) এর আজীবন ফেলো।
জনাব আখতার ২০১৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে এলজিইডি সদর দপ্তরের পরিকল্পনা ইউনিটের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি পান। এ সময় তিনি এলজিইডি সদর দপ্তর, ঢাকায় ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট লোকাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার সেন্টার (ক্রিলিক)-এর পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা এবং সড়ক ও সেত ুরক্ষণাবেক্ষণ-এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করেন। বিগত ৩ মার্চ ২০২৩ থেকে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (গ্রেড-২) পদে পরিকল্পনা, ডিজাইন ও গবেষণা পদে দায়িত্ব পালন করেন।
চাকুরীতে যোগদানের পর পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন কারিগরী, ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা ও অন্যান্য বিষয়ে মোট ৩০টি প্রশিক্ষণও কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ,আন্তর্জাতিক সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও সরকারি দায়িত্ব্ পালনের অংশ হিসেবে তিনি নেপাল. শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া,জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, জার্মানী, হংকং, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণকরেন।
মোঃ আলি আখতার হোসেনের সহধর্মিনী নিলিমা জাহান কাকলী। তিনি একপুত্র (আলইনজামাম আখতার) ও এক কন্যা (মিহদালুবান আখতার) সন্তানের জনক। একমাত্র পৌত্র দুই বছরের ইথান পরিবারের কেন্দ্রে অবস্থান করছে। এলজিইডি সদর দপ্তর থেকে মিডিয়া পরামর্শক মোঃ আবু ফাত্তাহ এক ই-মেইলে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।