প্রকৌশলীদের
জাতীয় সংগঠন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের নেতৃত্বদানকারী কৃতী প্রকৌশলীদের আজীবন ও মরণোত্তর
সম্মাননা প্রদান করেছে প্রতিষ্ঠানটি। শনিবার (২১ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর আইইবি মিলনায়তনে
এ সম্মাননা তুলে দেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার
মোশাররফ হোসেন এমপি।
অনুষ্ঠানে
আইইবির প্রতিষ্ঠালগ্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা,এবং পরবর্তী সময়ে আইইবিকে শক্তিশালী
করতে বিশেষ অবদান রাখায় আরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রতিষ্ঠাতা জনাব রুহুল মতিন কে মরণোত্তর
সম্মাননা প্রদান করা হয়। প্রকৌশলী রুহুল মতিনের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন তার সহধর্মীনি
জনাবা শাকিলা মতিন তার সুযোগ্য সন্তান খালেদ হাসান মতিন,কন্যা সায়রা মতিন পুত্রবধু
রেজওয়ানা চৌধুরী ।রুহুল মতিন চৌধুরী একাধারে প্রকৌশলী, নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনাবিদ
এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের সড়ক মহাসড়ক গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের রূপকার ছিলেন।
অনুষ্ঠানে
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রকৌশলী এম এ জব্বার (মরণোত্তর),
প্রকৌশলী রফিক উদ্দিন আহমদ (মরণোত্তর), অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী (মরণোত্তর)
সহ ১৭ জন প্রকৌশলীকে দেশ গঠন ও প্রকৌশলীদের উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় মরণোত্তর সম্মাননা
দেওয়া হয়।এছাড়া প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর, প্রকৌশলী সিরাজুল মজিদ মামুন, প্রকৌশলী
দেলোয়ার মজুমদারসহ মোট ৬৮ জন প্রকৌশলীকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।
তিনি
এ সময় প্রয়াত প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সিদ্দিক, এম এ জব্বার, রফিক উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক
ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের উন্নয়নে গ্রামের অর্থনীতি গতিশীল
করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের কথা স্মরণ করে বলেন, আইইবি’কে এ পর্যায়ে নিয়ে আসতে তারা অক্লান্ত
পরিশ্রম করেছেন। তাদের অবদান চীর স্মরণীয় হয়ে থাকবে।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং প্রাক্তন আইইবি প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার
আবদুস সবুর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইইবির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার নুরুল হুদা।মরনোত্তর
এই সন্মাননা পেয়ে প্রকৌশলী রুহুল মতিনের সুযোগ্য সন্তান আর এম গ্রুপের ব্যাবস্থাপনা
পরিচালক খালেদ হাসান মতিন ও তার পরিবার আইইবির পরিচালনা পর্ষদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ করেন।সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।