চরম অর্থনৈতিক সংকট ও সামাজিক
অস্থিরতার মধ্যে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত
প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। আজ সোমবার থেকে তা
কার্যকর হচ্ছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক
প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে সরকারের দেওয়া এক
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিক্রমাসিংহে জননিরাপত্তার স্বার্থে, জনশৃঙ্খলা
রক্ষা এবং প্রয়োজনীয় সরবরাহ ও পরিষেবার রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থে এই পদেক্ষপ
নিয়েছেন। সোমবার থেকেই তা কার্যকর হচ্ছে।
তবে কত দিনের জন্য জরুরি
অবস্থা বহাল থাকবে তা উল্লেখ করা হয়নি বিজ্ঞপ্তিতে। আগামী ২০ জুলাই দেশটির নতুন
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবে। পার্লামেন্টে ভোটাভুটির আগে জরুরি অবস্থা জারি করা
হলো। আগামীকাল মঙ্গলবার সংসদে মনোনয়ন গ্রহণ করা হবে ও বুধবার প্রেসিডেন্ট পদে
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, গত
১২ জুলাই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই
শ্রীলঙ্কাজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেন রনিল বিক্রমাসিংহে। সে সময় দেশটির একটি
প্রদেশে কারফিউও জারি করা হয়।
অর্থনৈতিক সংকটের জেরে
বিক্ষোভের মুখে সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে।
গত শনিবার বিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্ট প্যালেস থেকে তিনি পালিয়ে মালদ্বীপ হয়ে
সিঙ্গাপুরে চলে যান।
এর আগে, প্রেসিডেন্ট
গোতাবায়া রাজাপাকসের ভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করতে
বাধ্য হন।
গত মার্চ মাস থেকে অর্থনৈতিক
সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কায় শুরু হয় আন্দোলন। এক পর্যায়ে সাধারণ মানুষ বিক্ষোভে ফেটে
পড়েন। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও প্রেসিডেন্টের বাসভবনেও ঢুকে পড়েন
তারা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।