English

মোহতেশাম বাবর ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের মাস্টারমাইন্ড : হাইকোর্ট

মোহতেশাম বাবর ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের মাস্টারমাইন্ড : হাইকোর্ট
আইন আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক এলজিআরডিমন্ত্রী ও ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরকে ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের মাস্টারমাইন্ড ও রিং লিডার বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার এ মন্তব্য করেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ।শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিজানুর রহমান। এ সময় আদালত ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগের মামলায় গ্রেপ্তার বাবরের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।

গত ২৪ মার্চ বাবরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক নজরুল ইসলাম। এরপর বাবর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। এর আগে গত ৭ মার্চ দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তার আগে গত বছরের ৩ মার্চ দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় মোহতেশাম হোসেন বাবরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্নিষ্ট শাখায় এ চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বরকত, তার ছোট ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রীর এপিএস এএইচএম ফুয়াদ, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী, যুবলীগ নেতা আসিবুর রহমান ফারহান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, যুবলীগ নেতা কামরুল হাসান ডেভিড, মোহাম্মদ আলী দিদার ও তারিকুল ইসলাম নাসিম।

খন্দকার মোহতেশাম হোসেন জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সহ সভাপতি ছিলেন। এর আগে তিনি সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন।