অবৈধ
সম্পদের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে
কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আল আসাদ
মো. আসিফুজ্জামান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
সম্রাটের
আইনজীবী ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর এহসানুল হক সমাজী জামিন
আবেদনে জানান, তিনি আসামির অসুস্থতার জন্য মানবিক কারণে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি
শেষে বিচারক জামিন শুনানির জন্য আগামী ৯ জুন দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে
এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে অ্যাম্বুলেন্সে হাজির হন সম্রাট। বেলা ১১টার দিকে তিনি
আদালত প্রাঙ্গণে হাজির হলে সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত হওয়া কর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে গত ১১ মে একই আদালতের বিচারক সম্রাটের জামিন আদেশ দেন। ওইদিন রাতেই তাকে মুক্তি
দেওয়া হয়। মুক্তি পেলেও তিনি বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তবে
গত ১৮ মে হাইকোর্ট দুদকের আবেদনে সম্রাটের জামিন বাতিল করে সাত দিনের মধ্যে বিচারিক
আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী, তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ২০১৯ সালের
১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার
অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ কোটি
৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ আছে তিনি মতিঝিল
ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের
কমিশন নিতেন। অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তিনি অবৈধভাবে
উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট,
প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এ ছাড়া তার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে
নামে-বেনামে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর
সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
গত ২২
মার্চ দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম
ইমরুল কায়েশ। অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৬ এ পাঠানো
হয়। উল্লেখ্য, ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে
নেওয়া হয়।