অর্থের বিনিময়ে নমুনা সংগ্রহ করে করোনার ভুয়া সনদ
দেওয়ার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক
চৌধুরী ও তার স্ত্রী ডা. সাবরিনা চৌধুরীসহ আটজনকে গতকাল ১১ বছর করে কারাদণ্ড
দিয়েছেন আদালত। সাজা ঘোষণার পর ডা. সাবরিনা বলেন, ‘বুঝতে পারছিলাম কিছু হবে, তবে
এতটা হবে বুঝতে পারিনি।’
আপিলের বিষয়ে সাবরিনা বলেন, ‘আমি
জেকেজির চেয়ারম্যান ছিলাম না, এই সাজা কীভাবে হলো? আপিলের কথা তো পরে। একটা কথাই
বলব। আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গেই আছেন। এক দিন প্রমাণ হবে সাবরিনা নির্দোষ ছিল।’ এ
সময় এক আইনজীবী তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন,
‘ম্যাডাম আপনি দ্রুত বের হয়ে যাবেন।
আপিল করা হবে।’ তখন সাবরিনা বলেন,
‘আমি তো সেদিনই মরে গেছি যেদিন আমাকে
কারাগারে ঢুকানো হয়েছে। আমি বের হব কি না’
সেটা বড় বিষয় না। বড় কথা হলো আমি
নির্দোষ কিন্তু দেশবাসী জানল আমি অপরাধী।’
উল্লেখ্য, গতকাল দুপুরে অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেন করোনার ভুয়া সনদ দেওয়ার মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলার অন্য ছয় আসামি হলেন- আরিফুলের বোন জেবুন্নেছা রিমা, সাবেক কর্মচারী হুমায়ুন কবির হিমু ও তার স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারী, জেকেজির সমন্বয়ক আবু সাঈদ চৌধুরী, জেকেজির কর্মচারী বিপুল দাস ও শফিকুল ইসলাম রোমিও।
সিটি/আরএ/২০ জুলাই,২০২২