আশীষ সাহা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
তিতাস নদীতে তীর্থ মহাষ্টমী স্নান উৎসবে মেতেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দল বেঁধে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট তিতাস নদীতে অষ্টমী গঙ্গাস্নানে নেমেছে ভক্তদের ঢল। ভোর থেকে দল বেঁধে তিতাস নদীতে অষ্টমী গঙ্গাস্নানে নেমেছে ভক্তদের ঢল।
আজ বুধবার ( ২৯ শে মাচ') ভোরবেলা থেকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্ত পণ্যার্থীর গোকর্নঘাট তিতাস নদীর তীরে এসে সমবেত হয়। প্রতিবছর চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের অষ্টমী তিথিতে এ গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়। নদীর পবিত্র জলে এই গঙ্গাস্নানের মধ্য দিয়ে ভক্তরা পরিবারের মঙ্গল কামনার পাশপাশি দেশ জাতির জন্যে তারা বিশেষ প্রার্থনা করেছেন।
অষ্টমী গঙ্গাস্নানে বিষয়ে আখাউড়ায় শ্রী শ্রী রাধামাধব মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক শ্রী অলক কুমার চক্রবর্তী বলেন,গঙ্গাস্নানের মধ্য দিয়ে ভক্তরা পরিবারের মঙ্গল কামনার পাশপাশি দেশ জাতির জন্যে তারা বিশেষ প্রার্থনা করে থাকেন সকলের মঙ্গলের জন্যই, তাছাড়া আমাদের শাস্ত্রে বলা হয়েছে এই গঙ্গাস্নানের মধ্য দিয়ে দেহের পাপ মোচন হয়। যেখানে ভক্তি সহকারে ভক্তরা সমবেত হন সেখানে ভগবান বিরাজমান থাকেন।
তপতী সাহা বলেন, তিতাস নদীতে গঙ্গাস্নানে ভক্তদের ঢল দেখে খুবই আনন্দিত, গঙ্গাস্নানের মধ্য দিয়ে আমি নিজের এবং পরিবারের সকলের মঙ্গল কামনা করেছি।পরম করুনাময় যেন আমাদের সকলকে মঙ্গল রাখেন ঈশ্বরের নিকট এই প্রার্থনা।
শিখা ও শিউলি রানী বলেন, তিতাস নদীতে তীর্থ মহাষ্টমী স্নান উৎসবে মেতেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দল বেঁধে। তিতাস নদীর পবিত্র জলে স্নানের মধ্য দিয়ে মাতৃদেবী গঙ্গা ও ভগবানের কাছে পাপ মুক্তির জন্যে প্রার্থনা করেছি। তিনি সকলের জন্যে মঙ্গল কামনা করেন সেই প্রার্থনাও করেছি।প্রার্থনাকালে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় শান্তি কামনা করেছি।
তিতাস নদীতে তীর্থ মহাষ্টমী স্নান উৎসবে মেতেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দল বেঁধে। ঐতিহ্যবাহী এ গঙ্গাস্নানকে কেন্দ্র করে তিতাস নদীর তীর ঘেষে বসেছে লৌকজ মেলা। মেলায় নাগরদোলা, হরেক রকম বাহারী খাবার মুড়ি-চিড়া, মাঠা, তিল্লাই, বাতাসাসহ মাঠির তৈরি বাহারী খেলনা দোকানের পাশপাশি হরেক রকমের মনোহরি দোকান সাজিয়ে বসেছে বিভিন্ন দোকানিরা।