জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না, নেত্রকোনা থেকে
প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু উদ্ভোধনীর পরপরই নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রসাশক অঞ্জনা খান মজলিস বলেন, আমাদের আত্মর্যাদার প্রতীক হলো পদ্মা সেতু। আমাদের সততার প্রতীক। আমাদের নেতৃত্বের প্রতীক এই সেতু। প্রধানমন্ত্রী সেই নেতৃত্ব বহন করে চলেছেন। তিনি বলেন, আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে আমাদেরকে কেউ হারাতে পারবেনা। পদ্মা সেতু তার উদাহারণ। তাই আমাদেরকে এক থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন,
অনেক ষড়যন্ত্রের পর এই সেতু আজ দাঁড়িয়েছে।
এটি শুধুমাত্র দক্ষিণ পশ্চিমাংশের মানুষের উপকার হবে না। এটি সারা দেশের অর্থনীতিকে বদলে দেবে। চমৎকার কাঠের
রেপ্লিকা তৈরীর জন্য সড়ক বিভাগকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি পৌর মেয়র, জেলা পরিষদ সহ
আগত হাজারো সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন আজকের উদ্যোগ আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ।
বিখ্যাত শিল্পীর পদ্মা নিয়ে গান ‘পদ্মার ঢেউরে’ নেত্রকোনার সামবেশ মঞ্চে ছুঁয়ে যায় সকলের মন। আর সেই গানের মতোই নেত্রকোনায় পদ্মা সেতুর পাড়ের মঞ্চে হয়ে গেল আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তবে এটি ছিলো কাঠের তৈরী সেতু। সত্যিকারের সেতুর আদলেই গড়ে তোলা হয় সেতুটি। শনিবার সকাল ১০ টা থেকে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বাঙালি জাতির আরেকটি অনন্য বিজয় স্মারক পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজারো মানুষের সমাগম হয়।
জেলার ঐতিহাসিক মোক্তাপাড়া মাঠের মুক্তমঞ্চে
এই অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মানুষজন এসে মিলনমেলায় পরিণত হয়।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী,
সুশীল সমাজসহ রাজনৈতিক সামজিক সকল শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর
হাতে উদ্বোধনের পর নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বেলুন উড়িয়ে উদ্বেধনী
শেষে আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন।
এরপর আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্টানে গান
পরিবেশন করেন শিল্পকলা একাডেমির নিয়মিত শিল্পী প্রথমা সাহাসহ অন্যরা।
এদিকে অনুষ্ঠান দেখতে আসা মুক্তিযোদ্ধাসহ
সকল শ্রেনি পেশার মানুষ জানান, এটি দেখে গর্বিত হয়ে চোখে পানি ধরে রাখা যাচ্ছে না।
তারা সবাই নেত্রকোনায় এমন সেতু বানানো দেখেও অনেক খুশি।
তবে নেত্রকোনার মগড়া নদীটি অপরিকল্পিত
সেতুর জন্য নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা দাবী করেন এমন ভাবে পদ্মা সেতুর মতো যেনো
পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি
মো. মতিয়র রহমান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান, জেলা পরিষদ প্রশাসক
প্রশান্ত কুমার রায় ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার নুরল আমিন।