English

আখাউড়া স্থলবন্দরে কাস্টমস জটিলতায় আটকে আছে পাথরের গুড়া

আখাউড়া স্থলবন্দরে কাস্টমস জটিলতায় আটকে আছে পাথরের গুড়া
সারাদেশ চট্টগ্রাম

আশীষ সাহা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথম বারের মত ভারত থেকে  ২৭০০ মেট্রিক টন গুড়া পাথর আমদানি করা হলেও কাস্টমসের জটিলতায় আটকে আছে পাথর গুলি।

জানাযায়, আশুগঞ্জ নৌ বন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ফোরলেন রাস্তার কাজে ব্যবহার করার জন্য গত ১৩ নভেম্বর এই গুড়া পাথর গুলি আমদানি করা হয়। কিন্তু এ বন্দর দিয়ে এই পাথর আমদানির অনুমোদন না থাকার অজুহাতে আটকে দেয় কাস্টমস কতৃপক্ষ।

আমদানি হওয়া পাথরগুলি ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড প্রতি টন ১৩ মার্কিন ডলারে আমদানি করেছে। স্থলবন্দরের সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজ আমদানিকৃত পাথরের কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের কাজ করছে। পাথরগুলোর আমদানি শুল্ক প্রায় ৬৯ শতাংশ।

এ ব্যপারে কথা হলে সি এন্ড এফ এজেন্ট মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মোঃ মোজাম্মেল জানান,আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া স্থল বন্দর পর্যন্ত ফোরলেন রাস্তার কাজের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এই বন্দর দিয়ে প্রায় ২৭ শ মেট্রিক টন গুড়া পাথর বা ডাস্ট পাথর আমদানি করে। আমরা প্রথমে যখন ৭ শ মেট্রিক টন গুরা পাথর আমদানি করি তখন কাস্টমস সুপারের কাছে ছাড়পত্র আনার জন্য গেলে ওনি কাস্টমসের ডিপুটি কমিশনার(রাজস্ব)  সাথে আলোচনা করার জন্য বলেন। পরবর্তীতে আমরা ডিপুটি কমিশনার সাথে কথা বললে উনি ছাড়পত্রের জন্য একটি লিখিত  আবেদন করার জন্য বলেন। এ সময় তিনি ২৭ শ মেট্রিক টনের পুরো চালানটি নিয়ে আসার জন্য আমাদেরকে বলেন। আমরা ওনার কথামত ২৭ শ মেট্রিক টন এল সির পুরো চালানের গুড়া পাথর নিয়ে আসি। পুরো চালানের পাথার স্থল বন্দরে নিয়ে আসার পর ওনি আমাদেরকে নোটিশ দিয়ে জানালেন এই পণ্যটি এই বন্দর দিয়ে আমদানি যোগ্য নয়। আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে যদি এই গুড়া পাথর আমদানির অনুমোদন না থাকে তাহলে চার ধাপে বিল অফ এন্ড্রি কেন করল কাস্টমস।  তাছারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আইসি কপিতেও স্বাক্ষর করে ভারতীয় কাস্টমস কতৃপক্ষের কাছে কপি কেন পাঠিয়েছে। এতে করে আমাদের ব্যবসায়ীরা অনেক বড় ধরনের ক্ষতির সন্মুখিন হচ্ছি। কাস্টমস ছাড়পত্র না দেওয়ার কারনে মাল গুলি বন্দরে রাখার জন্য  প্রত্যেক দিন ৩৬ হাজার টাকা করে বন্দর মাশুল চার্জ দিতে হচ্ছে ।

বন্দরে আরেক ব্যবসায়ীক মেসার্স প্রীতম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. মনির হোসেন বাবুল বলেন, অনেক ব্যবসায়ী এ পথ দিয়ে পাথর আমদানি করার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছিলেন। আমি মনে করি এই বন্দরের যে অচল অবস্থা বা জিমিয়ে পরেছিল তা পাথর আমদানির মাধ্যমে চাঙ্গা হয়ে উঠার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু এই বন্দরে পাথরের চালানটি  আটকে যাওয়ার কারনে সকল ব্যবসায়ীরা নিরুৎসাহিত হয়ে পরেছে। আমরা চাই এই জটিলতা দ্রুত সমাধান করে এই বন্দরের কর্ম চাঞ্চলতা ফিরে আসুক।

এ ব্যপারে কথা হলে আখাউড়া কাস্টমস রাজস্ব (স্থলশুল্ক) কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান চৌধুরী  বলেন, প্রথমবারের মতো এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পাথর আমদানি করা হয়। এই পাথর গুলির মাঝে পাউডার বা ডাস্ট আছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবিহিত করলে চার সদস্যের কমিটি করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে প্রতিবেদনও পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন দেওয়ায় কতৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট আমদানি কারক, রপ্তানি কারক ও সিএন্ডএফ কে চিঠি দিয়েছে। সে চিঠির জবাব যদি উনারা সে ভাবে দেয় এবং কাস্টমস বিধি মোতাবেক থাকে তাহলে আমরা ছেড়ে দিব। তা না হলে আমরা প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।তবে মোটামুটি আমরা বিষয়টি গুছিয়ে নিয়ে এসেছি। আশা করছি খুব দ্রুত সমাধান হবে।