English

তুরস্কে ডয়চে ভেলে ও ভয়েজ অব আমেরিকার ওয়েবসাইট বন্ধ

তুরস্কে ডয়চে ভেলে ও ভয়েজ অব আমেরিকার ওয়েবসাইট বন্ধ
আন্তর্জাতিক

জার্মান সম্প্রচারমাধ্যম ডয়চে ভেলে (ডিডাব্লিউ) ও যুক্তরাষ্ট্রের ভয়েস অব আমেরিকার (ভিওএ) তুর্কি ভাষার সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক। দেশটির গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুরোধ অনুযায়ী, লাইসেন্সের জন্য আবেদন না করায় গত বৃহস্পতিবার এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়। শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তুরস্কের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে ডিডাব্লিউ।

তুরস্কের গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থা রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশন সুপ্রিম কাউন্সিল (আরটিইউকে) গত ফেব্রুয়ারিতে ভয়েস অব আমেরিকা ও ডয়চে ভেলেসহ তিনটি আন্তর্জাতিক সম্প্রচারমাধ্যমকে স্বল্পমেয়াদের নোটিশ দেয়। বলা হয়, অবিলম্বে তাদের লাইসেন্স নিতে হবে। অন্যথায় দেশটির ২০১৯ সালের মিডিয়া আইন অনুযায়ী সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে সে সময় ডিডাব্লিউ এক বিবৃতিতে জানায়- এতে তুর্কি সরকার তাদের কনটেন্ট সেন্সর করার অধিকার পাবে।

আরটিইউকের সহকারী প্রধান ইব্রাহিম উসলু বলেন, কারিগরী পদক্ষেপের অংশ হিসেবেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ডিডাব্লিউ ও ভিওএর ওয়েবসাইটগুলোতে অ্যাক্সেস সীমিত করে দেওয়া হয়েছে।

 

ডয়চে ভেলের মহাপরিচালক পেটার লিমবুর্গ বলেন, আমরা চিঠির মাধ্যমে এবং মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে জানিয়েছি, কেন এই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারছি না। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, তুরস্কে লাইসেন্স পাওয়া মিডিয়াগুলোকে আরটিইউকের কাছে অনুপযুক্ত মনে হয় এমন অনলাইন কনটেন্ট মুছে দিতে হয়, যা একটি স্বাধীন সম্প্রচার মাধ্যমের কাছে অগ্রহণযোগ্য।

 

ভয়েস অব আমেরিকার মুখপাত্র ব্রিজেট সেরচাক বলেন, সংবাদ সংস্থাদের চুপ করানোর সরকারি যে কোনো প্রচেষ্টা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার লঙ্ঘন। এ স্বাধীনতা যে কোনো গণতান্ত্রিক সমাজের একটি কেন্দ্রীয় মূল্যবোধ। তুরস্কের সরকার যদি আমাদের ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করে, সেক্ষেত্রে তুর্কি ভাষাভাষী দর্শক-শ্রোতাদের কাছে পৌঁছাতে ভিন্ন পথ অববলম্বন করবে ভিএও।

 

উল্লেখ্য, দেশটির দশ সদস্যের আরটিইউকে বোর্ডে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের রক্ষণশীল একেপি দল ও অতি ডানপন্থি এমএইচপি দলের প্রাধান্য রয়েছে।