English

আস্থা ভোটে উতরে গেলেন জনসন

আস্থা ভোটে উতরে গেলেন জনসন
আন্তর্জাতিক

আস্থা ভোটে উতরে গেলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। গতকাল সোমবার আস্থা ভোটে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ২১১ জন এমপি জনসনের পক্ষে ভোট দেন। বিপক্ষে ভোট পড়ে ১৪৮টি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষমতায় টিকে গেলেও এই ভোটাভুটি জনসন কিংবা তার দলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কারণ এ ধরনের ভোটাভুটিতে দলের অস্থিরতা অনেকটা প্রকাশ্যে চলে আসে। খবর বিবিসি।

জনসন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নিতে গতকাল আস্থা ভোটের ডাক দেন কনজারভেটিভ এমপিরা। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় ভোটাভুটি শুরু হয়; শেষ হয় রাত ১টায়। আর ফল ঘোষণা করা হয় রাত ২টায়। ক্ষমতায় টিতে থাকতে জনসনের ১৮১টি ভোট পেলেই চলত। লকডাউনের মধ্যে দেশবাসীকে বিধিনিষেধে আটকে রেখে জনসনের মদপানের পার্টি করা নিয়ে শোরগোল, অর্থনৈতিক নীতি এবং জনসনের নেতৃত্বের ধরন নিয়ে বিভেদের প্রেক্ষাপটে এই আস্থা ভোটের ডাক দেওয়া হয়।

এই ভোটে জেতায় অন্তত এক বছরের জন্য তাকে আর আস্থা ভোটের মুখে পড়তে হবে না। আর হেরে গেলে ক্ষমতা ছাড়তে হতো তাকে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারতেন না দলের নেতৃত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রেও। ভোট শুরুর আগেই অবশ্য ১৪১ এমপি এবং মন্ত্রিসভার বেশির ভাগ সদস্য জনসনের পক্ষে নিজেদের সমর্থনের কথা জানান। এ ছাড়া এমপিদের সঙ্গে এক বৈঠকে জনসন বলেন, আমি আবার আপনাদের জন্য জয়ী হব।

যুক্তরাজ্যের ইতিহাস বলছে, রাজনৈতিক নেতারা আস্থা ভোটে উতরে গেলেও পুরো মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারেন না। এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে হাউস অব কমন্সে দুই-তৃতীয়াংশ সহকর্মীর সমর্থন পেয়েছিলেন। কিন্তু মাস ছয়েক পরই ক্ষমতা ছাড়তে হয় তাকে।