একই ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি! আজম খানের ৫৮ বলে ১০৯ রানকে ম্লান করে দিলেন তারই স্বদেশি ব্যাটার উসমান খান। সেঞ্চুরির জবাবে সেঞ্চুরি করে খুলনার ১৭৮ রানের বিশাল স্কোরকে খুব সহজেই তাড়া করে চট্টগ্রামকে ৯ উইকেটের বিশাল এক জয় এনে দিলেন পাকিস্তানী ব্যাটার উসমান।
৫৮ বলে ১০৩ রানে অপরাজিত থাকলেন চট্টগ্রামের ওপেনার, পাকিস্তানি উসমান। তার সঙ্গে ৫০ বলে ৫৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন নেদারল্যান্ডসের ব্যাটার ম্যাক্স ও’দাউদ।
উদ্বোধনী ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মুখোমুখি হয়ে মাত্র ৮৯ রানে অলআউট হয়েছিলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এত কম রানে অলআউট হওয়ায় কম সমালোচনার শিকার হয়নি চট্টগ্রামের ব্যাটাররা। যদিও পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ানোর সংখল্প দেখিয়েছিলো তারা।
অন্যদিকে ১১৩ রান করে ঢাকার কাছেও হেরেছিলো খুলনা টাইগার্স। যে কারণে আজকের ম্যাচটি ছিল দুই দলের জন্যই প্রথম জয়ের সুযোগ। সেই সুযোগটি ব্যাটারদের দৃঢ়তায় গ্রহণ করে নিলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সই। পরাজিতের দলে থেকে গেলো তামিম-ইয়াসিরের খুলনা টাইগার্স।
মিরপুর শেরে বাংলায় টস জিতে খুলনাকে ব্যাট করতে পাঠায় চট্টগ্রাম। ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি মিডল অর্ডার আজম খানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ১৭৮ রান সংগ্রহ করে খুলনা। ৫৮ বলে ১০৯ রানে অপরাজিত থাকেন মঈন খানের ছেলে আজম খান। তামিম ইকবাল করেন ৪০ রান।
খুলনার আর কোনো ব্যাটার ভালো রান করতে পারেননি। না হয় আজম খানের এমন একটি সেঞ্চুরির পর স্কোর আরও বড় হতে পারতো খুলনার।
জবাব দিতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ১৪১ রান তুলে ফেলেন উসমান খান এবং ম্যাক্স ও’দাউদ। নাহিদুল ইসলামের বলে ম্যাক্স ও’দাউদ আউট হলে ভাঙে এই জুটি। বাকি কাজ আফিফ হোসেনকে নিয়ে সেরে ফেলেন উসমান খান। আফিফ ১০ বলে ৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। উসমান ৫৮ বলে ১০ বাউন্ডারি এবং ৫ ছক্কায় ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন।