প্রথম
রাউন্ডের ড্রয়ের পর থেকে সমীকরণটা তৈরি হয়েই ছিল। নিজেদের সব ম্যাচ জিতলেই ফ্রেঞ্চ
ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবেন নোভাক জোকোভিচ ও রাফায়েল নাদাল—সেই
শর্ত পূরণ হওয়ায় এবার শেষ আটেই পাওয়া যাবে ফাইনালের উত্তাপ। যেখানে একে অপরের
মুখোমুখি হয়ে যাচ্ছেন টেনিসের সর্বকালের সেরা দুই তারকা।
রোলা
গাঁরোতে চতুর্থ রাউন্ডের বাধাটা প্রথমে পেরোন সার্বিয়ান মহাতারকা জোকোভিচ।
আর্জেন্টিনার ডিয়েগো শোয়ার্টজমানের বিপক্ষে সহজেই ৬-১, ৬-৩ ও ৬-৩ গেমে জিতে শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করেন প্রতিযোগিতার বর্তমান
চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচ। এরপর জোকোভিচ অপেক্ষায় ছিলেন নাদালের। তবে নাদালের পরীক্ষা
খুব একটা সহজ হয়নি। কানাডীয় প্রতিপক্ষ ফেলিক্স আগুয়ের আলিয়াসিম রীতিমতো কাঁপিয়ে
ছাড়েন নাদালকে। তবে শেষ সেটে গড়ানো লড়াইয়ে ঠিকই অভিজ্ঞতার দাপটে উতরে যান লাল
দুর্গের রাজা।
পরশু
রাতে প্রথম সেটে ৬-৩ গেমে হেরে যান নাদাল। তবে পরের দুই সেট ৬-৩ ও ৬-২ গেমে জিতে
২-১ সেটে লিড নেন স্প্যানিশ মহাতারকা। চতুর্থ সেট ৬-৩ গেমে জিতে ফের লড়াইয়ে ফেরেন
আলিয়াসিম। ফল নির্ধারণী শেষ সেটে আর নাদালের সঙ্গে পেরে ওঠেননি ২১ বছর বয়সী
কানাডীয় তরুণ, ৬-৩ গেমে হেরে বিদায় নিয়েছেন শেষ ষোলো থেকেই।
হারলেও
নাদালকে কাঁপিয়ে ভবিষ্যতের তারকা হিসেবে নিজেকে চিনিয়েছেন আলিয়াসিম। তাঁর উত্থানের
সঙ্গে অবশ্য নাদালের কিছুটা যোগ আছে। নাদালের চাচা টনি নাদালের কোচিংয়েই প্রস্তুত
হচ্ছেন তিনি। চাচার শিষ্যকে হারিয়ে আরেকটি গ্র্যান্ড স্লামের পথে আরেকটু এগিয়ে
গেলেন নাদাল। ম্যাচ শেষে স্প্যানিয়ার্ড মহাতারকা বলেন, ‘কোনো
সন্দেহ নেই, এটা আমার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আমি ম্যাচটা
ভালোভাবে শুরু করিনি। ব্রেক করার অনেক সুযোগ ছিল, পারিনি।
তবে ম্যাচটা যেভাবে শেষ হয়েছে, তাতে আনন্দিত।’
চোটের
সঙ্গে লড়াই করা নাদাল জোকোভিচের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক। এটিই
প্রতিযোগিতায় তাঁর শেষ ম্যাচ হতে পারে জানিয়ে নাদাল বলেন, ‘সত্যি
কথা হচ্ছে, এখানে খেলা প্রতিটি ম্যাচ হতে পারে রোলা গাঁরোতে
আমার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। তবে শেষ পর্যন্ত এগুলো সব বিশেষ ম্যাচ এবং আমি নিজের
সেরাটা দেব।’
মহারণ
নিয়ে নাদাল আরও যোগ করেছেন, ‘আমরা একজন
আরেকজনকে বেশ ভালোভাবেই জানি। আমাদের অনেক ইতিহাস আছে। আমি মনোযোগী হয়েই খেলব এবং
শেষ পর্যন্ত লড়াই করব।’