জার্মানি মানেই যেন বিশ্বকাপে নতুন কোনো চমকের আবির্ভাব। ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ের পরের বিশ্বকাপেই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়। এবারও জার্মানির গ্রুপপর্বের পারফরম্যান্স যাচ্ছে তাই। প্রথম ম্যাচে জাপানের কাছে হেরে দ্বিতীয় ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও স্পেনের বিপক্ষে ১-১ গোলের ব্যবধানে ড্র করলো হ্যান্সি ফ্লিকের দল।
ক্যারিয়ারের দীর্ঘ সময় ফুলক্রুগ হিলেন দ্বিতীয় ডিভিশনের খেলোয়াড়। ২৯ বছর বয়সে জার্মানির জার্সি গায়ে অভিষেক হয়ে বিশ্বকাপে এসেই পেলেন নিজের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় গোল এবং জার্মানিকে বাঁচালেন পরাজয় থেকে।
জাপানের বিপক্ষে হারের একাদশ থেকে একাধিক পরিবর্তন নিয়ে এদিন স্পেনের বিপক্ষে একাদশ সাজায় জার্মানি৷ ২০১০ বিশ্বকাপে স্পেনের বিপক্ষে হারের প্রতিশোধ নিতে স্পেনের উপর শুরু থেকেই চড়াও হয়। কিন্তু ম্যাচের প্রথম সুযোগটা পায় স্পেন। মাত্র ৭ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যেতে পারতো স্পেন৷ কিন্তু দানি ওলমোর দুর্দান্ত শট নুয়্যারের হাত ছুঁয়ে বারে লাগলে গোল বঞ্চিত হয় স্পেন।
২৩ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ পায় স্পেন। এবার জর্দি আলবার ডি বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের মাটি কামড়ানো শট গোলবারের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়। জার্মানি সুযোগ পায় এর দুই মিনিট পর। ২৫ মিনিটে গ্যানাব্রির শট গোলবারের অনেক দূর দিয়ে চলে যায়৷
৪১ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে উত্তেজনাকর মুহূর্ত আসে এন্টনিও রুডিগারের কল্যাণে। ফ্রি কিক থেকে বাড়ানো বলে রুডিগার গোল করলে রেফারি ভিএআর এর কল্যাণে অফসাইডের সিদ্ধান্ত দেয় ফলে গোলবঞ্চিত হয় জার্মানি। ম্যাচের শেষ দিকে স্পেন কিছু চেষ্টা করলেও তা জার্মান রক্ষণভাগে প্রতিহত হলে গোলশূন্য অবস্থাতেই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতি থেকে ফিরে খেলায় গতি বাড়ায় জার্মানি ও স্পেন দুদলই৷ ৫৭ মিনিটে উনাই সিমন ভুল পাস দিয়ে বসেন কিমিচের কাছে৷ তার শট দেখা পায়নি গোলের।
৬৩ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখায় পায় স্পেন। বদলই হিসেবে নেমে বুসকেটসের বাড়ানো বলে দারুণ শটে গোল করে দলকে ১-০ ব্যবফহানে এগিয়ে দেন মোরাতা।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে কখনো টানা দুই ম্যাচ না হারা জার্মানির বিপক্ষে ৭৫ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পায় জার্মানি। কিন্তু মুসাইলার শট দারুণভাবে রুখে দেন উনাই সিমন। ৮৪ মি ইটে জার্মানিকে সমতায় ফেরান ফুলক্রুগ। জামাল মুসাইলার পাস থেকে বল পেয়ে ডি বক্সের সামান্য ভেতর থেকে দারুণ শটে পরাস্ত করেন উনাই সিমনকে। শেষের দিকে গোলের আরো চেষ্টা করলেও গোল পেতে ব্যর্থ হয় জার্মানি। ফলে ১-১ গোলের সমতায় থেকেই ম্যাচ শেষ করে তারা।