মোঃ ওমর ফারুক অনিক, মালদ্বীপ:
দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ছোট ও সৌন্দর্য পূর্ন দেশ
হিসেবে মালদ্বীপের পরিচিতি। এই দেশটির স্বল্প পরিসরের জনসংখ্যার পাশাপাশি
প্রবাসী বাংলাদেশি বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে শ্রমিক সংখ্যা প্রায় এক লাখেরও অধিক।
এইখানে অধিকাংশ প্রবাসীরা নিম্ন মানের বেতনে কাজ করেন। যে খানে ৮০% প্রবাসী
২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকায় বেতন ভুক্ত কাজে নিয়জিত আছেন।
আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে অধিকাংশ প্রবাসীরা পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপনে ব্যকুল হয়ে যার যার মালিক পক্ষ থেকে ছুটি মনজুর এবং যারা অবৈধভাবে কাজ করছেন তাদের মাঝেও অনেকে কাগজ পত্র ঠিক করেন যে দেশে গিয়ে পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপনে শামিল হতে পারেন। কিন্তু বাঁধ সাজে মালদ্বীপ-বাংলাদেশ রুটে চলাচলকারী এয়ারলাইন্সগুলোর বাড়তি ভাড়ায়। দুই-তিনগুণ দাম দিয়ে টিকেট কিনতে হচ্ছে এই রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের। বারবার যাত্রীদের পক্ষ থেকে টিকেটের দাম কমানোর আহ্বান জানানো হলেও এয়ারলাইন্স গুলোর পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মিলছেনা।
আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে অধিকাংশ প্রবাসীরা পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপনে ব্যকুল হয়ে যার যার মালিক পক্ষ থেকে ছুটি মনজুর এবং যারা অবৈধভাবে কাজ করছেন তাদের মাঝেও অনেকে কাগজ পত্র ঠিক করেন যে দেশে গিয়ে পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপনে শামিল হতে পারেন। কিন্তু বাঁধ সাজে মালদ্বীপ-বাংলাদেশ রুটে চলাচলকারী এয়ারলাইন্সগুলোর বাড়তি ভাড়ায়। দুই-তিনগুণ দাম দিয়ে টিকেট কিনতে হচ্ছে এই রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের। বারবার যাত্রীদের পক্ষ থেকে টিকেটের দাম কমানোর আহ্বান জানানো হলেও এয়ারলাইন্স গুলোর পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মিলছেনা।
জানা
যায়, মালদ্বীপ এয়ারলাইন্স এবং ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট গুলো মালে
টু ঢাকা রুটে সরাসরি চলাচল করে বিদায় এইখানকার প্রবাসীদের পছন্দের শীর্ষে
এই দু'টি ফ্লাইট। এ দু'টি এয়ারলাইন্স সপ্তাহে তিনটি করে ফ্লাইট পরিচালনা
করে। এছাড়াও অন্যান্য এয়ারলাইন্স গুলোর দীর্ঘ ট্রানজিট থাকায় মালদ্বীপে
বসবাসকারী প্রবাসীদের অধিকাংশ মানুষ সরাসরি এ দু'টি ফ্লাইটে যাতায়াত করতে
পছন্দ করেন। তবে, মালদ্বীপ প্রবাসীদের কাছে এ দু'টি বিমান ভাড়া এখন আতঙ্ক
হয়ে দাড়িয়েছে।
এদিকে মালদ্বীপ প্রবাসী এম কেআর কামাল হোসেন জানান, মালদ্বীপ প্রবাসীদের দেশে যাওয়া যেন এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজন প্রবাসী দেশ ও তার ফ্যামিলির জন্য যে পরিমাণ ত্যাগ স্বীকার করেন সেই ত্যাগ কে পুঁজি করে বিমান ব্যবসায়ীরা যেন টিকিটের মূল্য বৃদ্ধিতে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। প্রবাসীরা যখন কয়েক বছর পর তাদের ক্লান্তি দূর করতে ফ্যামিলির সাথে ঈদ উদযাপন বা বাৎসরিক ছুটি কাটাতে দেশে যাওয়ার উদ্যোগ নেয় ঠিক তখনই বিমান ব্যবসায়ীরা ছয় টাকার টিকিট এগারো টাকায় দাম বাড়িয়ে দেয় আমি মনে করি এটা নিত্যান্তই প্রবাসীদের সাথে প্রতারণা।
প্রবাসী ব্যবসায়ী জনাব হাদিউল ইসলাম বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স মালদ্বীপের রাজধানী মালে-ঢাকা টু ঢাকা-মালে, রুটে নতুন চালু হওয়ার পর মালদ্বীপ প্রবাসীদের মনে একটি স্বপ্ন জেগেছিল। যে আমরা স্বল্পমূল্যে সহজেই দেশে যাতায়াত করতে পারবো। এই আশা এবং স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের হয়রানির কথা বলে তো শেষ করা যাবেই না। এখন আবার মালদ্বীপ-ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস মিলে টিকিটের মূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি তা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা শুধু অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য। টিকেটের এমন বিশৃঙ্খলায় কারও নিয়ন্ত্রণ নেই।
এস আই সুমন নামের আরেক প্রবাসী লিখেছেন, মালদ্বীভিয়ানরা টিকেট এর দাম বাড়িয়েছে, তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। কিন্তু, ইউএস-বাংলা তার পূর্বের মূল্য তালিকা অটুট থাকলে, পেসেঞ্জারের ডল উঠবে, সাগতিকরা আমাদের রক্ত শোষন করে, হাড্ডিদিয়ে খাট্টা খায়, ইউএস-বাংলা তার নল দিয়ে বাঁশি বাজায়তেছে।
আবু জাহের নামের একজন প্রবাসীর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আমাদের রন্ধে রন্ধে জুচ্চুরি বাটপারি। আমাদের নিয়ে গর্ব করার কিছু নেই। আমরা প্রবাসীরা পরিবার দেশ সরকার সবার কাছে নিপিড়ীত বলে কয়ে কোন লাভ নেই।
প্রবাসীদের অনেকেই ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, এয়ারলাইন্স গুলোর টিকেট কিনতে গেলে টিকেট পাওয়া যায় না, আবার বিমানে উঠলে দেখি পাশে অনেকগুলো সিট খালি থাকে, কোনো যাত্রী নেই। তাহলে টিকেট সংকট কেন বুঝলাম না!
এমন লাগামহীন বিমান ভাড়া নিয়ে মালদ্বীপের বাংলাদেশ হাইকমিশনে যোগাযোগ করলে, দূতাবাসের প্রথম সচিব জনাব মোঃ সোহেল পারভেজ জানান, আমরা চাই প্রবাসী বাংলাদেশীরা যাতে স্বল্প খরচে দেশে যাতায়াত করতে পারেন। স্বল্প আয়ের প্রবাসী কর্মীদের জন্য অতিরিক্ত বিমান ভাড়া প্রদান করা সম্ভব নয়। আশা করি এয়ারলাইন্স গুলি এ বিষয়টি বিবেচনা করবে এবং টিকেট এর মূল্য নির্ধারণ করবে। আমাদের পক্ষ থেকেও এয়ারলাইন্স গুলিকে এ বিষয়ে অনুরোধ করা হবে।
এই বেপারে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মালদ্বীপের মার্কেটিং ম্যানেজার জনাব মোঃ শরিফুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ঈদ উপলক্ষে আগেই ইকোনোমিক ক্লাসের সকল টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে আগামী মাসের ১০ জুলাই পর্যন্ত। ১১ জুলাই থেকে স্বাভাবিক ভাড়ায় সীট খালি আছে। এবং এখন যে সীটগুলো খালি আছে সেগুলো সব বিজনেস ক্লাস যার দাম একটু বেশি।
মালদ্বীপের অধিকাংশ প্রবাসীরা জানান, আমাদেরকে রেমিট্যান্স যোদ্ধা বলা হয়। কিন্তু প্রবাসে আসতে এবং দেশে পিরতে পদে পদে হয়রানি দুর্ভোগ পোহাতে হলেও তা নিরসনে কখনও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। বাংলাদেশের বিমান ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যখন মালে-ঢাকা রুটে প্রবেশ করে তখন প্রবাসীরা অতিউৎসাহী হয়ে স্বাগত জানিয়ে দেশের বিমান হিসেবে সকলেই প্রাধান্য দেয়। তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে পায় মালদ্বীপে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। কিন্তু এটা ছিলো প্রবাসীদের আবেগ কে পুঁজি বানানো তাদের একটি ফাঁদ। প্রত্যেক প্রবাসীদের আশা ছিলো ভিনদেশী এয়ারলাইন্স গুলো তাদের কষ্ট না বুঝক নিজ দেশের এয়ারলাইন্সতো তাদের কষ্ট বুঝতে পারবে। কিন্তু তার উল্টো পোহাতে হচ্ছে এখন প্রত্যেক প্রবাসীদেরকে। বর্তমানে মালে-ঢাকা টিকেট মুল্য ৫৫ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা। এই টাকা অধিকাংশ প্রবাসীদের ৩-৪ মাসের বেতন।
এদিকে মালদ্বীপ প্রবাসী এম কেআর কামাল হোসেন জানান, মালদ্বীপ প্রবাসীদের দেশে যাওয়া যেন এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজন প্রবাসী দেশ ও তার ফ্যামিলির জন্য যে পরিমাণ ত্যাগ স্বীকার করেন সেই ত্যাগ কে পুঁজি করে বিমান ব্যবসায়ীরা যেন টিকিটের মূল্য বৃদ্ধিতে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। প্রবাসীরা যখন কয়েক বছর পর তাদের ক্লান্তি দূর করতে ফ্যামিলির সাথে ঈদ উদযাপন বা বাৎসরিক ছুটি কাটাতে দেশে যাওয়ার উদ্যোগ নেয় ঠিক তখনই বিমান ব্যবসায়ীরা ছয় টাকার টিকিট এগারো টাকায় দাম বাড়িয়ে দেয় আমি মনে করি এটা নিত্যান্তই প্রবাসীদের সাথে প্রতারণা।
প্রবাসী ব্যবসায়ী জনাব হাদিউল ইসলাম বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স মালদ্বীপের রাজধানী মালে-ঢাকা টু ঢাকা-মালে, রুটে নতুন চালু হওয়ার পর মালদ্বীপ প্রবাসীদের মনে একটি স্বপ্ন জেগেছিল। যে আমরা স্বল্পমূল্যে সহজেই দেশে যাতায়াত করতে পারবো। এই আশা এবং স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের হয়রানির কথা বলে তো শেষ করা যাবেই না। এখন আবার মালদ্বীপ-ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস মিলে টিকিটের মূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি তা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা শুধু অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য। টিকেটের এমন বিশৃঙ্খলায় কারও নিয়ন্ত্রণ নেই।
এস আই সুমন নামের আরেক প্রবাসী লিখেছেন, মালদ্বীভিয়ানরা টিকেট এর দাম বাড়িয়েছে, তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। কিন্তু, ইউএস-বাংলা তার পূর্বের মূল্য তালিকা অটুট থাকলে, পেসেঞ্জারের ডল উঠবে, সাগতিকরা আমাদের রক্ত শোষন করে, হাড্ডিদিয়ে খাট্টা খায়, ইউএস-বাংলা তার নল দিয়ে বাঁশি বাজায়তেছে।
আবু জাহের নামের একজন প্রবাসীর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আমাদের রন্ধে রন্ধে জুচ্চুরি বাটপারি। আমাদের নিয়ে গর্ব করার কিছু নেই। আমরা প্রবাসীরা পরিবার দেশ সরকার সবার কাছে নিপিড়ীত বলে কয়ে কোন লাভ নেই।
প্রবাসীদের অনেকেই ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, এয়ারলাইন্স গুলোর টিকেট কিনতে গেলে টিকেট পাওয়া যায় না, আবার বিমানে উঠলে দেখি পাশে অনেকগুলো সিট খালি থাকে, কোনো যাত্রী নেই। তাহলে টিকেট সংকট কেন বুঝলাম না!
এমন লাগামহীন বিমান ভাড়া নিয়ে মালদ্বীপের বাংলাদেশ হাইকমিশনে যোগাযোগ করলে, দূতাবাসের প্রথম সচিব জনাব মোঃ সোহেল পারভেজ জানান, আমরা চাই প্রবাসী বাংলাদেশীরা যাতে স্বল্প খরচে দেশে যাতায়াত করতে পারেন। স্বল্প আয়ের প্রবাসী কর্মীদের জন্য অতিরিক্ত বিমান ভাড়া প্রদান করা সম্ভব নয়। আশা করি এয়ারলাইন্স গুলি এ বিষয়টি বিবেচনা করবে এবং টিকেট এর মূল্য নির্ধারণ করবে। আমাদের পক্ষ থেকেও এয়ারলাইন্স গুলিকে এ বিষয়ে অনুরোধ করা হবে।
এই বেপারে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মালদ্বীপের মার্কেটিং ম্যানেজার জনাব মোঃ শরিফুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ঈদ উপলক্ষে আগেই ইকোনোমিক ক্লাসের সকল টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে আগামী মাসের ১০ জুলাই পর্যন্ত। ১১ জুলাই থেকে স্বাভাবিক ভাড়ায় সীট খালি আছে। এবং এখন যে সীটগুলো খালি আছে সেগুলো সব বিজনেস ক্লাস যার দাম একটু বেশি।
মালদ্বীপের অধিকাংশ প্রবাসীরা জানান, আমাদেরকে রেমিট্যান্স যোদ্ধা বলা হয়। কিন্তু প্রবাসে আসতে এবং দেশে পিরতে পদে পদে হয়রানি দুর্ভোগ পোহাতে হলেও তা নিরসনে কখনও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। বাংলাদেশের বিমান ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যখন মালে-ঢাকা রুটে প্রবেশ করে তখন প্রবাসীরা অতিউৎসাহী হয়ে স্বাগত জানিয়ে দেশের বিমান হিসেবে সকলেই প্রাধান্য দেয়। তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে পায় মালদ্বীপে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। কিন্তু এটা ছিলো প্রবাসীদের আবেগ কে পুঁজি বানানো তাদের একটি ফাঁদ। প্রত্যেক প্রবাসীদের আশা ছিলো ভিনদেশী এয়ারলাইন্স গুলো তাদের কষ্ট না বুঝক নিজ দেশের এয়ারলাইন্সতো তাদের কষ্ট বুঝতে পারবে। কিন্তু তার উল্টো পোহাতে হচ্ছে এখন প্রত্যেক প্রবাসীদেরকে। বর্তমানে মালে-ঢাকা টিকেট মুল্য ৫৫ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা। এই টাকা অধিকাংশ প্রবাসীদের ৩-৪ মাসের বেতন।
এ
অবস্থায় সরকারের উচিত বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে আটকে পড়া প্রবাসীদের ঈদ
যাত্রায় গন্তব্যে পৌঁছানো নিশ্চিত করা। এবং এয়ারলাইন্স গুলোর এমন
লাগামহীন বিমান ভাড়ার বৈরিতা দুর করে দাবি জানিয়ে প্রবাসীরা বলেন, চাহিদা
অনুযায়ী যে রুটে চাহিদা বেশি সেখানে অতিরিক্ত ফ্লাইট দিতে সমস্যা থাকার কথা
নয়।
মোঃ ওমর ফারুক অনিক/সিআর/এমই