নিজস্ব প্রতিবেদক
আক্রমণ হলে পাল্টা আক্রমণ ছাড়া বিকল্প পথ খোলা নেই বলে
মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। তারা বলেছেন, ছাত্রদলের নারীনেত্রীসহ
নেতাকর্মীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, এটা আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে হয়েছে।
এখন আক্রমণ হলে পাল্টা আক্রমণ করতে হবে-এর বিকল্প কোনো পথ নেই।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী
যুবদলের নবঘোষিত কমিটির প্রথম সমাবেশে বিএনপি নেতারা এসব কথা বলেন। এর আগে গতকাল
শুক্রবার সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে সভাপতি ও মোনায়েম মুন্নাকে সাধারণ সম্পাদক করে
জাতীয়তাবাদী যুবদলের আট সদস্যের আশিংক কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়।
‘বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে
প্রধানমন্ত্রীর কটূক্তি ও প্রচ্ছন্ন হত্যার হুমকি এবং ছাত্রলীগের অব্যাহত
সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সমাবেশে নবঘোষিত যুবদলের সভাপতি সুলতান
সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন এবং গোলাম মাওলা
শাহীনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার
মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস
সালাম, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী,
সাইফুল আলম নিরব, আমিনুল
হক, রফিকুল আলম মজনু, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক
মোনায়েম মুন্না, সিনিয়র সহসভাপতি মামুন হাসান, সাংগঠনিক
সম্পাদক ইসহাক সরকার, মহানগরের এনামুল হক এনাম প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতার নির্দেশেই ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করেছে বলে সমাবেশে অভিযোগ করেন ড.
খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছাত্রলীগ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে
তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলাম। দেশের সেরা শিক্ষার্থীরা এই
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হন। তোমরা কার রক্ত নিচ্ছো? তোমার ভাই অথবা বোনের। তোমরা
যাদের নির্দেশে এই হামলা করেছো, তারা শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য তোমাদের ব্যবহার
করছে।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ড. মোশাররফ বলেন, এই
সরকার দুর্বল হয়েছে। এই সরকারকে একটা ধাক্কা দিতে হবে। ছাত্রদল সেই সূচনা করেছে।
সরকার পতন, নিরপেক্ষ সরকার,
সংসদ বাতিল-এসব ইস্যুতে চলমান
আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য দলের নেতাকর্মী, দেশের
সকল গণতন্ত্র প্রিয় রাজনৈতিক ও দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান ড. খন্দকার
মোশাররফ হোসেন।
যুবদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আক্রমণের পাল্টা আক্রমণ ছাড়া
বিকল্প পথ খোলা থাকে না। মার খাওয়া একমাত্র কাজ নয়। রক্ত দিয়ে ত্যাগীদের খাতায় নাম
লিখালেই চলবে না। রক্ত দিতে হবে, আবার প্রয়োজনে যারা জনগণের বিপক্ষে কথা বলে, আক্রমণ
করে তাদের রক্ত নিতেও হবে। একটি মাত্র কথা,
বাধা আসলে পাল্টা বাধা দিতে হবে, আক্রমণ
হলে পাল্টা আক্রমণ করতে হবে-এভাবেই আক্রমনকারীদের মোকাবিলা করতে হবে। ’
যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গয়েশ্বর আরও বলেন, যে
প্রতিশ্রুতি নিয়ে আজ এই সমাবেশে হাজির হয়েছেন, সেই প্রতিশ্রুতি সফল হোক আগাম
অভিনন্দন রইল।
আমান উল্লাহ আমান বলেন, ছাত্রদলের বোনদের ওপর যেভাবে
ছাত্রলীগ হামলা করেছে, এটা প্রধানমন্ত্রী দেখেছেন। তিনিও তো একজন নারী। এই
বোনগুলো যদি তার মেয়ে হতো তাহলে কি করতেন?
ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর চাপাতি, রামদা, লাঠিসোটা
ও আগ্নেয় অস্ত্র সহকারে হামলা করা হলো,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশসানের ভূমিকা
কোথায়? অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহাবস্থান নিশ্চিত করুন।আব্দুস সালাম
বলেন, যে হামলা হয়েছে - এটা কেবল ছাত্রদলের ওপর হামলা নয়, এটা
জাতীয়তাবাদী শক্তির ওপর হামলা।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ‘আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম
খালেদা জিয়াকে হত্যা হুমকি দেওয়া হয়েছে,
এরপর আমরা ঘরে বসে থাকতে পারি না।
যেভাবে আমাদের ছাত্রদলের ভাই- বোনদের শরীর থেকে রক্ত ঝড়ানো হয়েছে, আমরা
প্রতি ফোটা রক্তের বদলা নেবো। হয় শহীদ হবো,
না হয় এই সরকারের পতন ঘটাবো। ‘
আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, আগামী দিনে যুবদল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে
সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেবেন। যেখানে জাতীয়তাবাদী শক্তির ও