মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার চালু নিয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং
গ্রুপের বৈঠক হতে যাচ্ছে। ঢাকায় এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিদলের
নেতৃত্ব দেবেন দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান।এই বৈঠকে যোগ দিতে
এরইমধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছেন মালয় মন্ত্রী সারাভানান। জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের এই
বৈঠকে মালয়েশিয়ায় বন্ধ থাকা বাংলাদেশি শ্রমবাজার সহসা খোলার গতি পাবে বলে ধারনা
করা হচ্ছে।
২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে
মালয়েশিয়ার সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয় বাংলাদেশের। সেসময় আশা
করা হচ্ছিল দ্রুতই বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য দেশটির শ্রমবাজার উম্মুক্ত হবে।সমঝোতা
স্মারক অনুযায়ী, কর্মী নেওয়ার বিমান ভাড়াসহ মালয়েশিয়া অংশের যাবতীয় খরচ
বহন করবে নিয়োগদাতা। আর বাংলাদেশে পাসপোর্ট করা, মেডিকেল, কল্যাণ
বোর্ড সদস্য ফিসহ আনুষঙ্গিক খরচ বহন করবেন কর্মী।
তবে গেল জানুয়ারিতে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক
সেরি এম সারাভানান এক চিঠিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীকে চিঠি
দিয়ে জানান, বাংলাদেশের জন্য শ্রমবাজার উম্মুক্ত করা হবে না। কেবল
নির্বাচিত ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সি ও ২৫০টি সাব এজেন্টের মাধ্যমেই বাংলাদেশি
কর্মীদের পাঠাতে হবে।বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান
মন্ত্রী ওই চিঠির উত্তরে জানিয়েছিলেন,
বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা আইন এবং আইএলও
কনভেনশন অনুযায়ী মালয়েশিয়ার এই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়।
এদিকে বাংলাদেশিদের জন্য অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে সব ধরনের সিন্ডিকেট বাতিল এবং সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য শ্রমবাজারটি উন্মুক্তের দাবি জানিয়ে আসছে জনশক্তি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা) সিন্ডিকেটবিরোধী মহাজোট।তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু সমঝোতা স্মারক হওয়ার পরও তথাকথিত সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যের কারণে মালয়েশিয়াতে কর্মী পাঠানো যায়নি।
এদিকে মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম মালয়েশিয়াকিনি এক
প্রতিবেদনে বলেছে, ঢাকায় সফররত মালয়েশিয়ার মন্ত্রী সারাভানান বলেছেন, ঢাকায়
তার সফরের সময় কোনো বিক্ষোভ হলে বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা আরও কমানো
হবে।মালয়েশিয়াকিনি প্রতিবেদনে বকলেছে,
ঢাকায় কোনও বিক্ষোভের পরিকল্পনা হয়ে
থাকলে ‘আমি ভয় পাই না। তারা (বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি)
হুমকি যত দেবে আমি তত নিষিদ্ধ করবো।’