রাজধানীর কদমতলীর একটি বাসা থেকে আশিকুল হক চৌধুরী পিন্টু (৩১) নামে এক সংবাদকর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ইংরেজি দৈনিক দ্য এশিয়ান এইজের সহকারি সার্কুলেশন ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এ ঘটনায় নিহত যুবকের ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে নিহতের কথিত বান্ধবী সাফিয়া বেগমকে (২৭) গ্রেফতার করে পুলিশ। নিহত পিন্টুর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে।
শুক্রবার (৩ জুন) সকাল ৯টার দিকে কদমতলী মাতুয়াইল মেডিক্যাল গলির একটি ভবনের পাঁচতলা থেকে পিন্টুর লাশ উদ্ধার করে কদমতলী থানা পুলিশ। তিনি ফার্মগেটে তার কর্মস্থলের পাশেই ভাড়া বাসায় থাকতেন। তবে কি কারণে কথিত বান্ধবীর কদমতলীর বাসায় গিয়েছিলেন সেসব খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
কদমতলী থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহা জানান, লাশ উদ্ধারের সময় পিন্টুর শরীরে ক্ষতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। দুপুরেই ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওসি আরও বলেন, সাফিয়া বেগম নামে এক তরুণীর সঙ্গে নিহত পিন্টুর প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তারা জানতে পেরেছেন। তিন-চার মাসের মতো মোবাইলে তাদের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এর আগে বাসায় না এলেও অন্য জায়গা তাদের দেখা হয়েছে বলে দাবি গ্রেফতার হওয়া তরুণীর।
নিহতের দীর্ঘ দিনের সহকর্মী ও দ্য এশিয়ান এইজের বার্তা সম্পাদক মো. সুজন মিয়া জানান, আশিকুল হক চৌধুরী পিন্টু দীর্ঘ আট বছর ধরে তাদের প্রতিষ্ঠানে অত্যন্ত দক্ষতা ও সততার সঙ্গে কাজ করছিলেন। তিনি ছিলেন বন্ধুবৎসল একজন মানুষ। জানা মতে, তার কোনো শত্রু ছিল না। তাকে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে, তা খুঁজে বের করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ। তিনি পিন্টুর হত্যাকারীদের শাস্তির মুখোমুখি করে বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান।
এদিকে পিন্টুর বড় ভাই আরিফুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় সাফিয়াকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় তিনি অভিযোগ করেছেন, আশিকুল হক চৌধুরী পিন্টুকে খাবারের সঙ্গে বিষাক্ত অথবা নেশা জাতীয় কিছু খাইয়ে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্ত সাফিয়া বেগমের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে। তিনি কদমতলীতে ভাইয়ের বাসায় থাকতেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কদমতলী থানার এসআই লালবুর রহমান জানান, সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে ওই তরুণীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যুবকের মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। হত্যাকাণ্ডে কে বা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।