শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কুরিয়ার ইউনিটে সোয়া তিন কোটি টাকার মেমোরিকার্ডসহ গ্রেপ্তারকৃত ৪ জনকে ২ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সকালে ডিএমপি’র বিমান বন্দর জোনের অতিরিক্ত উপ- পুলিশ কমিশনার (এডিসি) তাপস কুমার দাস জানান, মেমোরিকার্ড জব্দের ঘটনায় বিমান বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক ৪ আসামিকে থানায় হস্থান্তরের পর তাদেরকে গত বৃহস্পতিবার ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদেন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
গত বুধবার (১২ অক্টোবর) হযরত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দরের কুরিয়ার ইউনিটে হংকং থেকে আসা সোয়া তিন কোটি টাকার মেমোরিকার্ডসহ একটি কুরিয়ার সার্ভিসের ৪ জন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (NSI)।
এসময় তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৪০০ পিস বিভিন্ন ধরনের মেমোরিকার্ড জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো.মামুন হোসেন মোল্লা, মো.তরিকুল ইসলাম, মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. কবির মিয়া।
শুক্রবার সকালে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের এয়ারফ্রেইট ইউনিটের উপ-পরিচালক সানজিদা খানম গণমাধমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ফ্রেইটই উনিট ও টহল দলের টহল টীম NSI এর সহযোগিতায় পণ্যাগার (কুরিয়ার খাচা ইএক্স-২) তল্লাশি চালিয়ে মেমোরিকার্ড ৮ জিবি-৪৩ হাজার পিস, ১৬ জিবি-৩৩ হাজার ৫শ’ পিস, ৩২ জিবি-৫২ হাজার ৫শ’ পিস ও ৬৪ জিবি-৫ হাজার ৪শ’ পিস মেমোরিকার্ড জব্দ করেন।
সানজিদা খানম আরও জানান, মিথ্যা ঘোষনা দিয়ে আমদানিকৃত মালামালগুলো হংকং থেকে দেশে আনা হয়েছিল। পরে ঢাকা কাস্টমস, শুল্ক গোয়েন্দা ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ সকল সংস্থার উপস্থিতিতে এ সব মালামাল জব্দ করে কাস্টম হাউস, ঢাকার কাছে জমা দেয়া হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের চার কর্মচারি চোরাচালান কাজে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ও ১৯৬৯ সালের কাস্টম এ্যাক্ট আইনে বিমান বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।