English

হোমনার রামকৃষ্ণ পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ডা. গোলাম মোস্তফা

হোমনার রামকৃষ্ণ পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ডা. গোলাম মোস্তফা
সারাদেশ চট্টগ্রাম

আল্ আমিন হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

কুমিল্লা হোমনার রামকৃষ্ণ পুর কে.কে.আর.কে উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন ডা. গোলাম মোস্তফা।

বিদ্যালয়ের সভাপতি সাবেক অতিরিক্ত সচিব এম.এ হালিম এর মৃত্যুতে সভাপতির পদটি শূন্য হওয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সকলের সম্মতিতেই অত্র বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র সাবেক উপপরিচালক ডা. গোলাম মোস্তফাকে সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করেন।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ফুল দিয়ে গ্রহণ করে নেন প্রধান শিক্ষক মো. আতিকুর রহমান, সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুল ইসলাম মমিন, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. ময়নূল ইসলাম মোল্লা, গোপাল চন্দ্র ভৌমিক (সহকারী অধ্যাপক), মো. খায়রুল আলম পারভেজ, মো. সাদেক মিয়া, মো. আলাউদ্দিন, শিক্ষক প্রতিনিধি মো. আক্তার হোসেন, মোয়াজ্জেম হোসেন।সাবেক অতিরিক্ত সচিব এম.এ হালিম এর  আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয় ও ম্যানেজিং কমিকে নিয়ে প্রথম মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।

বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান উন্নয়ন সহ সার্বিক দিকের উন্নয়নের লক্ষ্যে একজন সৎ, শিক্ষানুরাগী, বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র  ডা. গোলাম মোস্তফা কে সভাপতি নির্বাচিত করা হয় বলে জানান ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বৃন্দ।নব-নির্বাচিত সভাপতি বলেন আমি একা কিছুই করতে পারবো না যদি ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষক, সর্বোপরি অভিভাবক ও এলাকার জনগণ সহযোগিতা না করেন। সাবেক ছাত্র, অভিভাবক ও এলাকার সবাই এগিয়ে আসলেই সকলের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদান করা যাবে ও সকলের সহযোগিতা ও দোয়া চান।

জানা যায় ডা. গোলাম মোস্তফা হোমনা উপজেলার ০৪ নং চান্দেরচর ইউনিয়নের ০৪ নং ওয়ার্ডের রামপুর (রহমতপুর)  গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা মরহুম আঃ রাজ্জাক প্রধান। তার ছাত্রজীবন শুরু হয় পীরজী হুজুর (রহ :) প্রতিষ্ঠিত রামপুর আরাবিয়া এমদাদুল উলুম মাদ্রাসায়। তিনি মাদ্রাসায় ২য় শ্রেণি, রামকৃষ্ণ পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে ৫ম শ্রেণি, রামকৃষ্ণ পুর কে,কে,আর,কে উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি ও ১৯৭৯ সালে দেবিদ্বার সুজাত আলী সরকারি কলেজ হতে এইচ.এস.সিতে প্রথম শ্রেণিতে সুনামের সহিত পাশ করেন।

তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এ এমবিবিএস এর ২২'ব্যাচ এ ভর্তি হন ও কোর্স সম্পূর্ণ করেন। বিসিএস এ উত্তীর্ণ হয়ে প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৮৮ সালে রাঙ্গামাটি সদর হসপিটালে। ১৯৮৯ সালের ডিসেম্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ যোগ দেন। প্রায় ২০ বছর তিনি কসবাতেই কর্মরত ছিলেন।

পরবর্তীতে কুমিল্লা ম্যাটস্ এ সহকারী পরিচালক ও পরে উপপরিচালক থাকা অবস্থায় অবসর গ্রহণ করেন।একমাত্র ছেলে এমবিবিএস ডাক্তার সে ঢাকা পঙ্গু হসপিটালে কর্মরত আছেন ও ছেলের বউ বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ ও হসপিটালে কর্মরত আছেন।তিনি মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ সহ সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে  নিয়োজিত আছেন।