English

এশিয়ান এইজের গাড়ি ভাঙচুর, সাংবাদিকের উপর হামলা

এশিয়ান এইজের গাড়ি ভাঙচুর, সাংবাদিকের উপর হামলা
রাজধানী

ইংরেজি দৈনিক দ্য এশিয়ান এইজ ও দৈনিক দেশকালের দুই সাংবাদিকের উপর অতর্কিত হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় দ্য এশিয়ান এইজের অফিস ভবনের নিচতলায় পার্ক একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে।

বুধবার (২২ জুন) রাত ১১টায় পত্রিকা দুটির তেজগাঁওয়ের নিজস্ব কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় দৈনিক দেশকালের নিজস্ব প্রতিবেদক রাসেল আহমেদ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। এশিয়ান এইজের কপি এডিটর দেওয়ান আসিফ রেজার সঙ্গে সন্ত্রাসীদের ধস্তাধস্তি হয়েছে। তবে তিনি গুরুতর আহত হননি।

সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত তিন যুবককে বুধবার (২২ জুন) রাতেই পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেফতার দেখায় তেজগাঁও থানা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে হামলা ও ভাঙচুরের মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা।

পত্রিকার গাড়ি ভাঙচুর ও অফিস প্রাঙ্গণে ঢুকে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। সংগঠনটির সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বিবৃতিতে বলেন, সাংবাদিকদের উপর হামলা বাক স্বাধীনতার উপর আঘাত। দ্য এশিয়ান এইজ ও দৈনিক দেশকালের দুই সাংবাদিকের উপর হামলার জড়িত তিনজন গ্রেফতার হয়েছে। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান নেতারা।

হামলায় আহত সাংবাদিক ও দৈনিক দেশকালের নিজস্ব প্রতিবেদক রাসেল আহমেদ জানান, কোনো কারণ ছাড়াই শালামার বার থেকে বের হওয়া কয়েকজন যুবক পত্রিকা অফিসের গাড়ি ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে নিচে নেমে তাদের ভাঙচুরের কারণ জিজ্ঞেস করতেই তারা আমাদের উপর চড়াও হয়। তারা অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। পরে নিরাপত্তা রক্ষীদের সহায়তার তিনজনকে ধরে থানায় হস্তান্তর করা হয়।

জানা গেছে, পুরাতন বিমান বন্দর সড়কের ৪৯ নম্বর এস আর টাওয়ারের তৃতীয় ও চতুর্থতলায় যথাক্রমে  দৈনিক দেশকাল ও দ্য এশিয়ান এইজের নিজস্ব কার্যালয় অবস্থিত। এ ভবনের নিচতলা ও দোতলায় শালামার নামে একটি বার রয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর সেখানে নানা বয়সী লোকজনের আনাগোনা আছে।

অভিযোগ আছে, শালামার বারে অপ্রাপ্ত বয়স্কদেরও আসা-যাওয়া রয়েছে। বুধবার (২২ জুন) রাতে সংবাদপত্রের গাড়ি ভাঙচুর ও সাংবাদিকদের উপর হামলায় জড়িতরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক। তারা এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

এর আগেও দ্য এশিয়ান এইজ ও দৈনিক দেশকাল অফিস ও ছাপাখানায় সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। পত্রিকা কিংবা সাংবাদিকদের উপর হামলা স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর চরম হুমকি বলেও মন্তব্য সুধীজনদের।