আশীষ সাহা, ব্রাহ্মণবাড়িয় প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার
বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পথে প্রান্তরে ফুটেছে কৃষ্ণচূড়া।প্রকৃতিতে
কৃষ্ণচূড়ার রঙ দূর থেকে দেখলে মনে হয় গ্রীষ্মের রোদের সবটুকু উত্তাপ গায়ে
মেখে নিয়ে ফুটেছে সবুজ পাতার মাঝে এই রক্তিম পুষ্পরাজি।
কৃষ্ণচূড়া একটি বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। যার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া।
কৃষ্ণচূড়ার
ফুলগুলো পাপড়িযুক্ত গাঢ় রক্তিম লাল হয়। ফুলের ভেতরের অংশ হালকা হলুদ ও
রক্তিম হয়ে থাকে। সৌন্দর্যবর্ধক গুণ ছাড়াও এ গাছ ছায়া দিতে বিশেষ উপযুক্ত।
যেদিকে
চোখের দৃষ্টি যায় সেইদিকে সবুজের মাঝে শুধু লাল রঙের মূর্ছনা, প্রকৃতির এই
সৌন্দর্য চোখে পড়ছে। চোখ ধাঁধানো কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য যেন হার মানায়
ঋতুরাজকেও। ঋতুচক্রের আবর্তনে কৃষ্ণচূড়া তার মোহনীয় সৌন্দর্য নিয়ে আবারো
হাজির হয়েছে প্রকৃতির মাঝে।
সেইসঙ্গে
কৃষ্ণচূড়ার লাল আবির গ্রীষ্মকে দিয়েছে এক অন্য মাত্রা। আমাদের এখানে রয়েছে
বারো মাসে ছয়টি ঋতু। প্রতি দুমাস অন্তর ঋতু পরিবর্তন হয়। আর এই পরিবর্তনের
মধ্য দিয়ে প্রকৃতিতে চলতে থাকে রূপের পালাবদল। প্রকৃতিতে এখন গ্রীষ্মকাল।
এই গ্রীষ্মকালে কাঠফাঁটা রোদে কৃষ্ণচূড়ার আবির নিয়ে প্রকৃতি সেজে উঠেছে যেন
বর্ণিল রূপে। দেখলেই মনে হয় প্রকৃতিতে কৃষ্ণচূড়ার রঙে আগুন জ্বলছে।
সরেজমিন
দেখা গেছে,উপজেলার বুধন্তী, ইসলামপুর, হরষপুর, সিঙ্গারবিল সহ বিভিন্ন
এলাকাসহ অনেক জায়গায় রাস্তার দুই ধারে কৃষ্ণচূড়া শোভা পাচ্ছে। প্রকৃতিতে
কৃষ্ণচূড়ার রঙ দূর থেকে দেখলে মনে হয় গ্রীষ্মের রোদের সবটুকু উত্তাপ গায়ে
মেখে নিয়ে ফুটেছে সবুজ পাতার মাঝে এই রক্তিম পুষ্পরাজি। এ যেন এক চমৎকার
রূপ,
বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের পুত্রবধূ মন্টি রায় বলেন,
এক সময় রাস্তার দুই পাশে অনেক কৃষ্ণচুড়া গাছ ছিল। স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা
যখন বিদ্যালয় যেতে হতো এক কিলো: হেটে তখন সেই কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে বসে
বাতাস খেত আর মনের জুড়ানো গল্প বলতো। এখন আর সেই সোনালী দিনের দৃশ্য দেখা
যায় না। এখন গাছ অনেক কমে গেছে। এরপরও এই গাছের ছায়ায় ক্লান্ত পথচারীরা
নিজেকে একটু জিড়িয়ে নেই।
উপজেলার ইসলামপুর বাসিন্দার জিয়াদুল হক
বলেন, গৃীষ্মকালীন সময়ে যেদিকে চোখের দৃষ্টি যায় আর গ্রীষ্মের রোদে সেইদিকে
সবুজের মাঝে শুধু লাল রঙের মূর্ছনা, প্রকৃতির এই সৌন্দর্য চোখে পড়ছে। চোখ
ধাঁধানো কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য যেন হার মানায় ঋতুরাজকেও। ঋতুচক্রের
আবর্তনে কৃষ্ণচূড়া তার মোহনীয় সৌন্দর্য নিয়ে আবারো হাজির হয়েছে প্রকৃতির
মাঝে। মাঠের কৃষকরা একটু প্রশান্তির জন্য কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে বসে কিছু
সময়ের জন্য আড্ডা দিত ক্লান্তি কৃষকর। কিন্তু সময় আবর্তনে এখন আর সেই
কৃষ্ণচূড়া গাছ বেশি একটা দেখা যায় না।নতুন প্রজন্মরা এখন কৃষ্ণচূড়া
ফুলের সৌন্দর্য থেকে অনেকটা বঞ্চিত হচ্ছে।