English

আশুগঞ্জে মাদ্রাসা প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

আশুগঞ্জে মাদ্রাসা প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
সারাদেশ চট্টগ্রাম

অনলাইন ডেস্ক : মহিলা মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু  নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে মামলা দয়ের করেছেন এক ছাত্রী। গত ১৫ অক্টোর ২০২৩ তারিখে পি-১৬৭/২৩  মামলার অভিযুক্ত মোঃ আবু বকর সিয়াম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন বাহাদুরপুর জাকির বাড়ি মহিলা মাদ্রাসার (আল-ইক্বরা মহিলা মাদ্রাসার ) প্রিন্সিপাল ।  অভিযুক্ত মোঃ আবু বকর সিয়াম জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন বাহাদুরপুর গ্রামের মোঃ মাফুজ মিয়ার পুত্র।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, ভুক্তভোগীর বাড়ি আশুগঞ্জ থানাধীন আড়াইসিধা গ্রামের মোঃ মাসুদ মিয়ার কলেজপড়ুয়া কন্যা শুদ্ধভাবে পবিত্র কোরআন শরীফ পাঠ করা শেখার জন্য উক্ত মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। ভর্তির ২/৩ দিন পর নতুন ছাত্রী  প্রয়োনীয় কাজে অফিস কক্ষে গেলে ঘটনার দিন প্রিন্সিপাল মোঃ আবু বকর সিয়াম অফিস কক্ষের দরজা লাগিয়ে দেয় এবং ধারালো ছুরি ধরে জোরকরে জামাকাপড় খুলে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী রক্তাক্ত হলে গামছা দিয়ে মুছে ফেলে এবং তাকে শান্ত থাকতে বলে। আগে থেকেই মোবাইলে ভিডিও ক্যামেরা অন করে রাখা ধর্ষণের চিত্র দেখিয়ে বলে কাউকে বিষয়টি জানালে এই ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল করে দেবে বলে হুমকি দেয়। এই ভিডিও দেখিয়ে ০৫ অক্টোর ২০২২ সকাল ১১টা থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ভোর ৪টা নাগাদ ক্রমাগত ধর্ষণ করতে থাকে।  এ ঘটনা তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু  নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালত সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে ভুক্তভোগী সিটিজেন টাইমসকে জানান, “সিয়াম খুবই হিংস্র এবং চালাক। ধর্ষণের ঘটনা জানাতে আমি ফেসবুকে তার ছবি আপলোড করলে সিয়াম আমাকে ফোন করে আপোষ মিমাংসার কথা বলে চট্টগ্রামের বহদ্বারহাট স্বাধীনতা কমপ্লেক্সে আমার সাথে দেখা করে । সে আমাকে  ধর্ষণ করেনি একথা তার বাপকে ফোনে বলার জন্য আমাকে ফোন ধরিয়ে দেয়। এক হাতে ধারালো ছুরি ধরে রাখে এবং বলে তার শিখিয়ে দেয়া কথাগুলো তার  বাপকে বলার জন্য। এ পরিস্থিতিতে আমি বাধ্য হয়ে  তার শিখিয়ে দেয়া কথা বলে আমি তার কাছ থেকে দ্রুত কেটে পড়ি। এরপর গ্রামের মেম্বার, চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য লোকজনের পিছণে ধর্ণা দিয়ে কোথাও বিচার না পেয়ে আদালতের দারস্থ হই “। এছাড়া  বিবাদী পক্ষের ভয়ে পালিয়ে  পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানান ভুক্তভোগী।  

এদিকে অভিযুক্ত সিয়ামের পিতা মাফুজ মিয়া সিটিজেন টাইমসকে বলেন, “আমার ছেলের বিষয়ে ভুক্তভোগী মেয়েটির সাথে আমি নিজে ফোনে কথা বলেছি, সে আমাকে বলেছে ধর্ষণের ঘটনা সত্য নয়।”   

ডিসিটি/অডে/ঢাকা/শেষ