ঢাকায় আসা তুরস্কের নাগরিকের উপসর্গ মাঙ্কিপক্সের নয়
বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত
মহাপরিচালক (প্রশাসন) আহমেদুল কবীর এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তার (তুর্কি নাগরিক)
মাঙ্কিপক্সের কোনো উপসর্গ নেই। তার শরীরে যে ফুসকুড়ি, তা
দীর্ঘদিনের চর্মরোগের কারণে।’
এদিকে, এ মুহূর্তে দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত কোনো রোগী নেই
বলে গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান এটি পাঠিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লক্ষ করা যাচ্ছে, বিভিন্ন
সামাজিক মাধ্যমসহ দেশের বেশ কিছু অনলাইন-ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যমে দেশে বিদেশি একজন
নাগরিকের দেহে মাঙ্কিপক্সের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে–সংক্রান্ত তথ্য প্রচার করা
হচ্ছে। এ তথ্য সঠিক নয়। দেশে মাঙ্কিপক্সে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি আক্রান্ত হননি।
এ মুহূর্তে দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি নেই। ভবিষ্যতে কোনো ব্যক্তি
আক্রান্ত হলে তা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাব অনুযায়ী, নতুন
করে প্রাদুর্ভাবের পর আফ্রিকার বাইরে ২৫টির বেশি দেশে এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সের
রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। রোগীর সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, মাঙ্কিপক্সের
উপসর্গ অনেকটা গুটিবসন্তের মতো। তবে তা মৃদু। শুরুতে জ্বর, মাথাব্যথা, শরীরব্যথা, ক্লান্তি
ভাব, অবসাদ ইত্যাদি দেখা দেয়। ফুলে যেতে পারে লসিকা গ্রন্থি। এক থেকে তিন
দিনের মধ্যে সারা গায়ে ফুসকুড়ি ওঠে। মুখে শুরু হয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এই
ফুসকুড়ি।
গুটিবসন্তের মতোই প্রথমে লাল, তারপর
ভেতরে জলপূর্ণ দানা, শেষে শুকিয়ে পড়ে যেতে থাকে। দুই থেকে চার সপ্তাহ স্থায়ী
হয় এই রোগ। তারপর নিজে নিজেই সেরে যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তেমন বড় কোনো জটিলতা হয়
না।