নারায়ণগঞ্জ : নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, রেলের বগিতে আগুন দেয়াসহ দুই একটি সন্ত্রাসী কাজ করে সারা দেশের নির্বাচন প্রতিহত করা যাবে না। তিনি বলেন,নির্বাচনের কাজে কয়েক লক্সাধিক লোক নিয়োজিত থাকরে। দুই একটি সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে এতো বড় একটি নির্বাচন ভন্ডুল করা যাবে না।
তিনি জানান, নির্বাচনের দিন সকালে সকল কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে যাতে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করা যায়। দুর্গম এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ব্যালট পাঠানো হবে।তিনি বলেন একটি অবাধ ও সুষ্ঠ নিরপেক্ষ গ্রহনযোগ্য নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত করা যায় সেজন্য আমরা ব্যালট পেপার নির্বাচনের দিন পাঠানেব ব্যবস্থা করছি। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যে কয়েকটি স্থানে ব্যালটে ভোট হয়েছে, সব জায়গায় এভাবেই নির্বাচন করেছি। কেউ বলার সুযোগ পাবে না যে, আগের রাতে ভোট পড়েছে। এ ধরনের অপবাদের সুযোগ যেন না থাকে সেজন্য আমরা সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পাঠাব। তবে দুর্গম এলাকাগুলোতে আমরা রিটার্নিং অফিসারদের সঙ্গে কথা বলব। কেন দুর্গম এলাকায় আগে ব্যালট দিতে হবে, ব্যাখ্যা নেওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্ত্রী ও এমপিদের প্রভাব অন্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে কি না, এমন প্রশ্নে ইসি আলমগীর বলেন, কোথাও যদি বাঘ থাকে এবং তার চেয়ে ছোটখাটো কোনো প্রাণী যদি থাকে, সেখানটা তো ভারসাম্যহীন হয়ে যায়। পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট আছে। তারা এসব দেখবে। মাঠ সবার জন্য সমান, আইন সবার জন্য সমান। কেউ যেন কাউকে বাধা না দেয়।
নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান জোরদার করা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য কারও অস্ত্র লাইসেন্স করা থাকলে তা নিয়ে নিলে তো তাকে নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। এখন আমরা তাকে নিরাপত্তা দেব না, নির্বাচনকে নিরাপত্তা দেব। লাইসেন্স করা অস্ত্র থাকলেও কেউ অবৈধভাবে অস্ত্র প্রদর্শন যেন করতে না পারেন, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদুল হক, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল, র্যাব ১১ এর অধিনায়ক (সিও) তানভীর মাহমুদ পাশাসহ জেলা নির্বাচন কমিশন, জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিসিটি/ওএল/এসএমকে/শেষ