English

জুড়ীতে উই পুকার আক্রমণে উদ্বিগ্ন কমলা চাষিরা

জুড়ীতে উই পুকার আক্রমণে উদ্বিগ্ন কমলা চাষিরা
সারাদেশ

জালালুর রহমান, (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ


জেলার জুড়ীতে উপজেলার লাঠিটিলা বনবিভাগ স্থানীয় বিভিন্ন আঁকাবাঁকা উঁচু নিচু পাহাড়ি টিলায় সারিবদ্ধ গাছের ডালে ডালে দোলছে পাকাঁ আদাপাকাঁ কমলা। অঞ্চলের কমলালেবু স্বাদ ভালো হওয়ায় ব্যাপক চাহিদা রয়েছে দেশ বিদেশে। পাহাড়ী টিলাগুলোতে রয়েছে চাষিদের কমলা বাগান। পাহাড়ি জনপদের কমলা চাষিদের মুখে বইছে আনন্দের হাসি। তবে চাষিদের এবারে আনন্দের মাত্রা অনেকটা কমে গেছে। কারণ অন্য বছরের তুলনায় বছর খরা বেশি ছিল এবং উই পুকার আক্রমণে উদ্বিগ্ন কমলা চাষিরা। যার ফলে চাষিদের আগ্রহী আগের চেয়ে অনেকটা কমেছে। জানা গেছে, এবারেও কিছু কিছু কৃষক পোকামাকড় নিধনে সেক্সফরমুন ফাঁদ আলোক ফাঁদ পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। এটি পোকামাকড় দমনের সঠিক একটি পদ্ধতি। এরজন্য অনেক বাগানে কমলার আকারবড় ফলন হয়েছে। কৃষিবিদদের মতে কমলা একটি ছায়া পচন্দকারি বৃক্ষ। ফলদ বৃক্ষের ছায়ায় কমলা চাষাবাদ ভাল হয়। উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের লালছড়া, শুকনাছড়া, ডুমাবারই, লাঠিটিলা, লাঠিছড়া, হায়াছড়াকচুরগুল। পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের কালাছড়া এবং সাগরনাল ইউনিয়নের পুটিছড়া জায়ফরনগর ইউনিয়নের বাহাদুরপুরসহ অন্যান্য গ্রামের টিলা বাড়িগুলোতে কমলার পাশাপাশি, শাসনি জারা লেবুর বাগান রয়েছে। আর বাগানগুলোতে পেশা হিসেবে সর্বদা পরিচর্যা করা ওই গ্রামগুলোর মানুষের পেশায় রূপান্তরিত হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এক একটি বাগান থেকে প্রায় / লাখ টাকার ফলন পাওয়া যায়। কমলা চাষে যেমন খরচ কম, তেমন শ্রমও দিতে হয়না এমনটাই জানিয়েছেন অত্র বাগানগুলোর কৃষকরা। ফলে, কমলা চাষে অত্রাঞ্চলের কৃষকরা আগ্রহী হওয়ার পাশাপাশি স্বাবলম্বিও হচ্ছেন। জুড়ী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন প্রায়  ৯৬.৫০ হেক্টর জমিতে আনুমানিক ৮৪টি কমলা বাগান গড়ে উঠেছে। তন্মধ্যে গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নে শতকরা ৮০ ভাগ বাগান রয়েছে। অত্রাঞ্চলের অধিকাংশ কমলা খাশি জাতের চাষাবাদ হচ্ছে। ওই বাগানগুলো থেকে চলতি মৌসুমে ৩০০ মেট্রিকটন কমলা লেবুর ফলন প্রাপ্তির আশা রয়েছে। লালছড়া গ্রামের কমলা চাষি মোরশেদ মিয়া (৫৪) বলেন, কমলা এবছর ফলন বেশি হয়নি। অন্য বছরের তুলনায় ফলন কম হয়েছে উই পুকার আক্রমণে কমলাগাছ নিধন হচ্ছে। তিনি বলেন, এবারে কমলার বাজার মূল্য গত বছরের চেয়ে বেশি, আকারেও ছোট।

তিনি ইতোমধ্যে ২০ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করছেন। আরো ৫০ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবেন বলে জানালেন। জুড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: মাহমুদুল আলম খাঁন জানান, কমলা একটি ছায়া পছন্দকারী বৃক্ষ। শুধু একক বাগান হলে সানবার্ণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কৃষকরা যদি সঠিকভাবে সুষম সার ব্যবহার করে এবং পোকা-মাকড় রোগ বালাই দমনের জন্য নিয়মিত বালাই নাশক স্প্রে/সেক্সফরমুন ফাঁদ ব্যবহার করে, তাহলে ফলন ভালো হওয়ার পাশাপাশি আকাড়ও বড় হবে। কমলার ফলন কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবারে খরা বেশি ছিল গাছগুলো পুরাতন রোগাক্রান্ত। তাছাড়াও অত্রাঞ্চলের কৃষকরা জাড়া শাসনি লেবু ফলনে আগ্রহ দেখাচ্ছে।


ডিসিটি/ওএল/এসএমকেএন/শেষ