English

ব্রাহ্মণবাড়িয়া তীব্রগরমে সর্দিজ্বরের প্রার্দুভাব

ব্রাহ্মণবাড়িয়া তীব্রগরমে সর্দিজ্বরের প্রার্দুভাব
সারাদেশ চট্টগ্রাম

আশীষ সাহা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া, কসবা, বিজয়নগর  উপজেলায়  বন্যার দুর্যোগ মোকাবেলা কেটে উঠতে না উঠতেই দেখা দিয়েছে তীব্রগরমে সর্দিজ্বরের আক্রমণ। 

ঈদুল আযাহার পর (গত রবিবার) থেকে প্রচন্ড গরমে মানুষ হাপিয়ে উঠেছে, দেখা দিয়েছে প্রতিটি ঘরে ঘরে সর্দিজ্বর ডায়রিয়া রোগের প্রার্দুভাব।

এ দিকে স্থানীয় বাজারে আনারসের চাহিদা বেড়ে গেছে, মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়, এই জ্বর আনারসয়্যা জ্বর, তাদের বিশ্বাস আনারস খেলে ভালো হয়ে যাবে এ জ্বর। 

অন্যদিকে আখাউড়া,বিজয়নগর,কসবায় উপজেলার বিভিন্ন বাজারের ফার্মিসিগুলোতে দেখা যায়, প্যারাসিটামল, নাপা এক্সট্রা,ফেনাডিন,এলাট্রল, এন্টিবায়োটিক  ওরস্যালাইন সহ বিভিন্ন জাতীয় ঔষুধের কেনার ধুম। প্রাইভেট পল্লী চিকিৎসকরা জানান, প্রতিদিনেই সর্দিজ্বরের রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসছেন চেম্বারে। আমরা সর্দিজ্বর ও ডায়রিয়া রোগের  প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। 

আখাউড়া উপজেলার  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হিমেল খান জানান অতিরিক্ত তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ও আবহাওয়ার  পরিবর্তনের কারণে এমনটি দেখা দিয়েছে। বর্তমান  আমাদের হাসপাতালে শতকরা সিক্সটি পার্সেন্ট রোগী আসছেন সর্দিজ্বর নিয়ে চিকিৎসা নিতে। আমাদের কাছে আসা রোগীদেরকে যথাযত চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ দিচ্ছি।তাছাড়া গতকাল আমাদের হাসপাতালে  কয়কজনকে সন্দেহজনকভাবে করোনার টেস্ট করতে বলা হয়,এরই মধ্যই তিনজনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।অথচ তাদের করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার ছিল থ্রি ডোজ। তিনি বলেন আমাদের সকলের উচিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা করা। আর সমাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। 

আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ লুৎফর রহমান বলেন,অতিরিক্ত তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগীরা সর্দিজ্বরে আক্রান্ত হয়ে কেউ  হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন,আবার অনেকে  চিকিৎসা নিয়ে তারা বাড়ি ফিরছেন । আমরা সর্দিজ্বরে রোগীদের বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি করোনা টেস্ট করার জন্য, কিন্তু রোগীরা মনে করছেন তাদের টিকা নেওয়া আছে টেস্ট করার প্রয়োজন মনে করেন না। অনেকে আবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নারাজ। তারপরও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের আদেশক্রমে     সর্দিজ্বরে রোগীদেরকে করোনা টেস্ট করার জন্য আমরা জুড়ালো ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। 

কসবা উপজেলার  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ অরুপ পাল জানান এই সপ্তাহে মধ্যে অতিরিক্ত তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ও আবহাওয়ার  পরিবর্তনের কারণে  সর্দিজ্বর রোগী হাসপাতালে বেড়ে গেছে। বর্তমান  আমাদের হাসপাতালে শতকরা ফিফটি  পার্সেন্ট রোগী আসছেন সর্দিজ্বর নিয়ে চিকিৎসা নিতে।হাসপাতালে আসা ভাইরাসজনিত  রোগীদেরকে যথাযত চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন মেডিকেল অফিসার ডাক্তার গন।

এমনটি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিজয়নগর  উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাসুম জানান, অতিরিক্ত তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে এমনটি দেখা দিয়েছে, আমাদের কাছে সর্দিজ্বর আসা রোগীদেরকে যথাযত চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ দিচ্ছি।তবে ডায়রিয়া রোগী থেকে সর্দিজ্বর রোগী বেশী আসছে হাসপাতালে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ ও দেওয়া হচ্ছে সকল রোগীদেরকে।