English

জাতীয় প্রেসক্লাবে নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক বিশেষ আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে

জাতীয় প্রেসক্লাবে নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক বিশেষ আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে
জাতীয়
বাংলাদেশে নারীদের ক্ষমতায়নের গুরুত্ব তুলে ধরে আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স হলে জাতিসংঘ এবং বঙ্গবন্ধু কমিশনের যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ওই সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু কমিশনের চেয়ারম্যান ও সেন্ট্রাল ডেমোক্রেটিক কমিটির নির্বাহী সদস্য এবং মিশিগান ডেমোক্রেটিক পার্টির সহ-সভাপতি ড. রাব্বি আলম জেডি। জাতিসংঘ এবং বঙ্গবন্ধু কমিশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে জুম ওয়েবিনারে এই সংযুক্ত হন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষাবিদ এবং রাজনীতিক ব্যক্তিত্বরা।

এছাড়াও সেমিনারে জুম ওয়েবিনারে সংযুক্ত হয়ে আলোচনায় অংশ নেন জাতিসংঘের নারী প্রতিনিধিসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতা হ্যালি স্টিভেন, রাশিদা তালাইব এবং এলিসা স্লটকিন্স এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র সিনেটর ডেবি স্টেবনাওসহ কংগ্রেস ওমেন সদস্যরা।

সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. প্রফুল্ল চন্দ্র সরকার। প্যানেলে আলোচনায় অংশ নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের প্রাক্তন ডিন প্রফেসর ড. অরুণ কুমার গোস্বামী এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান কাজল।

সেমিনারে গেস্ট অফ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী,  সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড.শাম্মী আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ড.রোকেয়া সুলতানা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর এন আই খান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বামীর উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্টার ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। সেমিনারটি উদ্বোধন করেন সাবেক সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন নাহার লাইলী।



প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. রাব্বী আলম বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম প্রধান অংশীদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৭২ সাল থেকে ইউএসএইড প্রায় ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য দিয়েছে বাংলাদেশকে। দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নেও সহায়তা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি আরো বলেন, কেনেডি বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা আন্দোলনের জোরালো সমর্থক ছিলেন। আজ আবারও যুক্তরাষ্ট্র প্রমাণ করলো যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বন্ধু প্রতীম দেশ। মিশিগান সিনেট অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে এটি আজ সুস্পষ্ট হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের শান্তি-শৃঙ্খলা এবং নারীর নিরাপত্তা বিধানে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মিশিগান সিনেটের বিশেষ অধিবেশনে বাংলাদেশের বিশিষ্ট নারীদের কেও সম্মাননা প্রদান করেছে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল এবং একক দৃষ্টান্ত। এই অর্জন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগা উত্তরসূরী হিসেবে তিনি শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নই করছেন না; মানবসম্পদের সুষম উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নে ব্যাপক কাজ করে চলেছেন। যা সত্যিই বিস্ময়কর। জুম উইডিনারে সংযুক্ত মার্কিন কংগ্রেস এবং বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন দৃষ্টান্তমূলক বলে উল্লেখ করেছেন।

অধ্যাপক ডক্টর প্রফুল্ল চন্দ্র সরকার বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে নারীর ক্ষমতায়ন ঈশ্বর নিয়োগ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে ১৮.৬ ভাগেরও বেশি নারী ক্ষমতায়িত হয়েছে। যা সত্যি বিস্ময়কর।

সভাপতি বক্তৃতায় এমডি রিজভী আলম বলেন, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন। এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান পাঁচ। নারী উন্নয়নে সার্বিক সূচকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলভুক্ত ২৪টি দেশের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার পরই দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থান বাংলাদেশের। এর একক কৃতিত্ব বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণেই এই নারী ক্ষমতায়নের গতি উর্দ্ধমুখী।

অনুষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে জুম ওয়েবিনারে পরিচালনা করেন জাতিসংঘের SGDs এবং লিঙ্গ সমতা বিষয়ক বিশেষ কমিশনার ড. রেমি আলামো এবং বাংলাদেশ থেকে সরাসরি রয়্যাল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা'র শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান এবং বঙ্গবন্ধু কমিশন ও এম টিভি ইউএসএস'র কান্ট্রি ড. মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক(দিপু সিদ্দিকী) এবং বাংলাদেশ কমিশনার মো: আল মাসুম খান।

এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন বঙ্গবন্ধু কমিশনের বাংলাদেশ এম্বাসেডর মোঃ শিবাজী ফকির ও কমিশনের মিডিল ইস্ট কমিশনার আওলাদ হোসেন। সেমিনারটি ছিল বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের সফলতার উদযাপন এবং অফিসিয়াল হোস্টিং। এই বছরের ইউনাইটেড নেশনস কমিশন অন উইমেন স্ট্যাটাস (CSE 67) এর সর্বোত্তম অনুশীলন ও বাস্তবায়নের জন্য অংশীদারিত্ব এবং বৈশিষ্ট্যযুক্ত। সেমিনারেটিতে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু কমিশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও স্পেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডি রিজভি আলম।

"বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের উপর আন্তর্জাতিক সেমিনার" শীর্ষক সেমিনারটি এই বছরের সেরা অনুশীলন এবং বাস্তবায়নের জন্য অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ইউনাইটেড নেশনস কমিশন অন উইমেন স্ট্যাটাস সিএসই ৬৭ এবং বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের আয়োজন ও উদযাপন করা হয়েছে। জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধু কমিশনের বিশেষ দূত ড. রেমি আলাপো এবং কো-হোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ফ্লোরিডা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ড. ইসমত পারভিন এবং বঙ্গবন্ধু কমিশন ইন্টারন্যাশনাল পাবলিসিটি সেলের নির্বাহী সদস্য ও বর্তমান ডিন জনাব কায়কোবাদ মাহমুদ ও বঙ্গবন্ধু কমিশন ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ যুক্তরাষ্ট্রের যুগ্ম যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মিনহাজ রাসেল চৌধুরী। এই বছরের ইউনাইটেড . নেশনস কমিশন অন উইমেন স্ট্যাটাস (CSE 67) বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক নারী সেমিনার অনুষ্ঠিত হল।