নির্বাচন
কমিশন (ইসি) থেকে চিঠি দেওয়ার পরও কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ
সদস্য আ ক ম
বাহাউদ্দিন বাহার নির্বাচনি এলাকা না ছাড়ায় গণমাধ্যমের
কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)
কাজী হাবিবুল আউয়াল।
আইনবিধির
কিছু সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেছেন, সংসদ সদস্যের জন্য ইসির অনুরোধই ‘যথেষ্ট’। এরপরও না
মানলে এবং মামলার ফলাফল না পেলে করার
কিছু থাকে না। রোববার
আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাবেক সিইসি, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবদের সঙ্গে
সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে
সিইসি এমন কথা বলেন।
হাবিবুল
আউয়াল বলেন, ইসির কিছু আইনগত ক্ষমতা আছে। কিছু ক্ষমতা আংশিক, কিছু ক্ষমতা পরিপূর্ণ। কোনো কোনো নির্বাচনে কারও কারও প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে। কিন্তু কুমিল্লার বিষয়ে আচরণবিধিতে বলা রয়েছে-সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা কারও এলাকায় অবস্থান করে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রচারে
অংশ নিতে পারবেন না।
কুমিল্লার
মাননীয় সংসদ সদস্য অনেকটা তেমনটাই করেছেন বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। আমরা তাকে এখান থেকে চিঠি দিয়েছি। বলেছি- স্থান ত্যাগ করার জন্যে। উনি ত্যাগ করেননি। আমরা শুনেছি- উনি আদালতে মামলা করেছেন। কমিশনের
অনুরোধই একজন সংসদ সদস্যের এলাকা ত্যাগ করার জন্যে যথেষ্ট বলে মত দেন সিইসি।
তিনি
বলেন, তাছাড়া আমরা যখন কাউকে রিকোয়েস্ট করি, আমাদের এমন কোনো ক্ষমতা নেই কাউকে জোর করে... (বের করে দিতে পারি)। তিনি একজন
সংসদ সদস্য, তাকে বলাটাই যথেষ্ট। তাকে আমরা বলেছি—
আচরণবিধিতে এটি আছে, আপনি কাইন্ডলি একটু সরে থাকলে নির্বাচনটা ভালো হয়। সেই চিঠিটি আমরা প্রকাশ্যে দিয়েছি। এটিই একজন সংসদ সদস্যের জন্য যথেষ্ট। একজন সংসদ সদস্যের জন্য সেটিকে অনার করা (উচিত)। যদি তিনি
সেই অনার না করেন, আমাদের
তেমন কিছু করার থাকে না।
কুমিল্লা
৬ (আদর্শ সদর, সিটি করপোরেশন, সেনানিবাস এলাকা) আসনের সংসদ সদস্য বাহার আইন ভেঙে দলীয় প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের পক্ষে
প্রচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠলে তাকে সতর্ক করে নির্বাচন কমিশন। তাতে কাজ না হওয়ায় গত
বুধবার তাকে এলাকা ছাড়তে নির্দেশ দেয় ইসি।
কিন্তু
প্রথম দফা সতর্কবার্তা পেয়েই হাইকোর্টে গিয়েছিলেন বাহার। তাকে নির্বাচনের প্রচারে সুযোগ না দেওয়া কেন
সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, তা জানতে চেয়ে
আদালত থেকে রুলও পান তিনি।