:ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফের সদস্যরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ নিয়ে একটি জ্ঞানগর্ভসাহিত্যসভারআয়োজন করেন।
এই আত্মজীবনীমূলক বইটি গভীর জীবনবোধ এবং ইতিহাসের অকপট ও সরলতাপূর্ণ বর্ণনার জন্য ব্যাপকভাবে সমাদৃত। বইটির বৈচিত্র্যময় ঘটনাবলিবাংলাদেশের মানুষের জন্য এক তাৎপর্যপূর্ণ ঐতিহাসিক দলিল।
বঙ্গবন্ধুর অনিন্দ্য সুন্দর গল্পবলার ক্ষমতা তুলে ধরে ১৬ আগস্ট ২০২৩ অনুষ্ঠিত এ পাঠচক্রে আলোচকরাতাঁর মনোমুগ্ধকর লেখনশৈলীর প্রশংসা করেন। সাহিত্যসভার একজন সদস্য মন্তব্য করে বলেন,“এই আত্মজীবনীর প্রতিটি বাক্য পাঠককে গল্পের গভীরে টেনে নিয়ে যায়, ঠিক যেমনটা তাঁরবক্তৃতামানুষকে চুম্বকের মতো আকর্ষণ করে।”
অতীতের রাজনৈতিক-সংস্কৃতি সম্পর্কে বলতে গিয়েআলোচকরা ভিন্ন মতাদর্শের রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর চিরায়ত শ্রদ্ধাশীল দৃষ্টিভঙ্গি দেখেনিজেদের বিস্ময় প্রকাশ করতে বাধ্য হন।এটা তাঁর উদারতা এবং অবিসংবাদিত নেতা হয়ে ওঠার এক অকাট্য প্রমাণ।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক যাত্রায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর গভীর প্রভাব সম্পর্কে জানতে পারাটা ছিল অনেক ব্র্যাক ব্যাংক সাহিত্যসভারআলোচকদেরকাছে এক চিত্তাকর্ষক বিষয়। যদিও এই আত্মজীবনীর মূলেরয়েছে বঙ্গবন্ধু, তবে রিডিং ক্যাফের সদস্যরাবইয়ের প্রকৃত নায়ক সোহরাওয়ার্দী বলেই মনে করেন, যার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বগুণকেসমৃদ্ধ এবং প্রভাবিত করায় অসামান্য ভূমিকা রেখেছিল।
যদিও সাধারণের কল্পনায় বঙ্গবন্ধু‘জীবনের চেয়েও বড়’ এক ব্যক্তিত্ব, কিন্তু‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’আমাদের কাছে সেই কিংবদন্তী চরিত্রেরপেছনেরথাকা অতি সাধারণ মানুষটিকে তুলে ধরে।এই আত্মজীবনীর বর্ণনা তাঁর সরলতা, সততা এবং দুর্বলতা প্রকাশের এক বিরল সাহসিকতারপ্রতিফলন।এই আত্মজীবনী বঙ্গবন্ধুর অকৃত্রিম ব্যক্তিত্বেরদৃষ্টান্ত হিসেবে বিমূর্ত হয়ে আছে।
এই সাহিত্যসভার সমাপ্তি ঘটেছিলএক সর্বসম্মত ঐকমত্যেরমধ্য দিয়ে— ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ হচ্ছেইতিহাসের এক অমূল্য সম্পদ, যা জাতীয় গবেষণার যোগ্যতা রাখে।এই আত্মজীবনীর প্রতিটি লাইন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক আখ্যানকে সমৃদ্ধ করতে পারে।
সাহিত্যে মনোনিবেশ এবং তা উদযাপন করার নিরন্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেবিবিএল রিডিং ক্যাফে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তাদের পরবর্তী পাঠ্য হবে সমসাময়িক বাংলাদেশি লেখক ফারুক মঈনউদ্দীনের ‘সেরাদশ গল্প’ বইটি।