নিজস্ব
প্রতিবেদক
বৈশ্বিক
অর্থনীতির ঝুঁকি বিবেচনায় মূল্যস্ফীতি ও ডলারের দাম বৃদ্ধিকে দেশের ব্যাংক খাতের
মূল চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ডলার সহায়তা দেওয়া
হলেও সংকট মোকাবিলায় ব্যাংক খাতকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
আজ
শনিবার ঢাকার অফিসার্স ক্লাবে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে
এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। তিনি জানান, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমদানির ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেধ দেওয়া
হয়েছে সেগুলো মেনে চললে বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
তিনি
আরও বলেন,
এ মুহূর্তে বিলাসী পণ্য আমদানি থেকে বিরত থাকা উচিত। এলসি ওপেনের
ক্ষেত্রে কিছু মার্জিন দেওয়া হয়েছে এগুলো সকলকে মেনে চলতে হবে। বর্তমান সংকট কাটাতে
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে সরাসরি ডলার সরবরাহ করছে। এটা অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া খাদ্য, শিশু-খাদ্য ,সার,
জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, কৃষিসহ প্রয়োজনীয়
পণ্য আমদানির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। যেসব পণ্য অতি প্রয়োজনীয় নয় সেগুলো
আমদানিতে নিরুৎসাহিত করতে হবে।
করোনার
সময় যেভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা হচ্ছে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জও সেভাবেই মোকাবিলা
করবো বলে আশা প্রকাশ করেন গভর্নর ফজলে কবির।
করোনায়
১৮৯ জন ব্যাংকার মৃত্যুবরণ করেছেন জানিয়ে গভর্নর বলেন, ২০২০ সালে করোনায় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয়েছিল ব্যাংকিং খাতকে। ওই
সময় ব্যাংকের কার্যক্রম সচল রাখতে হয়েছে। ব্যাংকগুলো সম্মুখ সারিতে ছিল।
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে গিয়ে কিছু ক্ষতিও হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন
ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সেলিম রহমান। এ সময় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
এবং সিইও ফরমান আর চৌধুরী ছাড়াও পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বৃত্তিপ্রাপ্ত
শিক্ষার্থীরা এবং অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংকের
পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেধাবীদের মাঝে আল-আরাফাহ ইসলামী
ব্যাংক সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের আওতায় প্রতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায়
উত্তীর্ণ ২০০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদান করছে। এর অংশ
হিসেবে ২০১৯ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২০০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে
বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।