English

আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘অক্সিজেন প্লান্ট’ চালু

আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘অক্সিজেন প্লান্ট’ চালু
সারাদেশ চট্টগ্রাম

আশীষ সাহা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু হয়েছে ‘অক্সিজেন প্লান্ট’।  গত এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীরা অক্সিজেন প্লান্টের সেবা পাচ্ছেন। তবে এখনো প্লান্টটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়নি।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. হিমেল খান বৃহস্পতিবার তিনি স্থানীয় কয়েকজন সংবাদকর্মীকে প্লান্টটি ঘুরে দেখান।  

আর বলেন, ৩৬ টি বড় সিলিন্ডার দিয়ে এ প্লান্টটি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এ প্লান্ট থেকে জরুরি বিভাগসহ প্রতিটি শয্যায় অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়েছে রোগীরা সেবা নিতে শুরু করেছেন। সিলিন্ডারগুলো একবার রিফিল করলে কমপক্ষে তিনমাস ব্যবহার করা যাবে।

তাছাড়া তিনি আরও জানান,আমাদের হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট’ চালু কারাতে রোগীদের মধ্যে অনেকটা স্বস্তি বোধ ফিরে  এসেছে, আর যেসব রোগীরা আগে অক্সিজেনের অভাবের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়তো এখন সেই রোগীগুলো আমাদের হাসপাতালেই চিকিৎসা নিতে পারেন।

উপজেলার আমোদাবাদ গ্রামের রোগী শিশু রাধিকার বাবা রাজু সাহা বলেন,আমার মেয়ের প্রতিদিন প্রায় কয়েক ঘন্টায় অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় এর জন্য সদরে যেতে হইতো এখন আমাদের আখাউড়ার হাসপাতালের অক্সিজেন প্লান্ট’ চালু হওয়াতেই এখন আর অন্য কোথাও যেতে হবেনা,আমার মতো এমন অনেকে স্বস্তি বোধ করবেন।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর অভিভাবক আক্ষেপ করে বলেন, হাসপাতালে টিকিট কাউন্টারের সামনে কিছু লোকজনের জন্য আমাদের মতো সাধারন মানুষের চিকিৎসা নিতে এসে অনেক দুর্দশা পোহাতে হয়, তাছাড়া শুনেছি গত কয়েক দিন আগে এক মহিলার  স্বর্ণের চেইন চুরি হয়ে গেছে, কর্তৃপক্ষের নিকট জুড়ালো আহ্বান থাকবে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. হিমেল খান আরও বলেন, আমাদের হাসপাতালে যদি সিসিটিভি স্থাপন করা হয়, তাহলে হাসপাতালের শৃঙ্খলা আরো বজায় রাখা যাবে। আর স্বর্ণের চেইনে বিষয়ে কোন ধরনের  লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে আমি আজ শুনেছি  স্বর্ণের চেইন হারানো বিষয়টি,আমি আশাবাদী আমাদের হাসপাতালে টিকিট কাউন্টারে রোগী ব্যাতীত আর অন্য কোনো ধরনের লোকজন থাকবেনা, সেই বিষয়ে জোড়ালো ভাবে অবগত থাকবো।আর যদি সিসিটিভি স্থাপন করা হয়, তাহলে আমাদের  হাসপাতালের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা যাবে।