আশীষ সাহা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় খাদ্য নিরাপত্তা, খাদ্য স্বাস্থ্যবিধি, অপুষ্টি এবং স্বাস্থ্যকর বার্ধক্য বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হলরুমে।
'আমাদের মাঝে যত রোগব্যাধি হচ্ছে এর বেশিরভাগেরই উৎস অনিরাপদ ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্য। এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। সবজি থেকে শুরু করে অন্যান্য খাদ্য উৎপাদনে নিজেদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে হবে। খাবার কেনার ক্ষেত্রেও আমাদেরকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে।’
আয়োজিত এই কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন। নিরাপদ খাদ্য, রক্ত শূণ্যতা, অপুষ্টি, বার্ধক্য বিষয়ে এ কর্মশালায় আলোচনা হয়। উপজেলা স্বাাস্থ্য কমপ্লেক্সে আয়োজিত এ কর্মশালায় উদ্বোধন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হিমেল খান। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন মেডিকেল অফিসার জান্নাতুল মাওয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নাজবাহুল ইসলাম।
উক্ত কর্মশালায় মোশারফ হোসেনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, কাজী হান্নান খাদেম, বিশ্বজিৎ পাল বাবু, জালাল হোসেন মামুন, আশীষ সাহা, মহিউদ্দিন মিশু, সুকান্ত চক্রবর্তী, হাফেজ মাওলানা আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
কর্মশালায় বক্তারা আরো বলেন, ‘আগে বাড়িতে সবজি এনে ধোয়ে কাটা হতো। আর এখন কাটার পর ধোয়া হয়। এতে সবজির গুনাগুন থাকে না। আগে মানুষ না খেয়ে মারা গেছে বলে খবর বেরুতো। এখন মানুষ অনিরাপদ ও অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহন করে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে সচেতনার কোনো বিকল্প নেই।’নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ, ভেজালমুক্ত খাদ্য উৎপাদনের জন্য নিজ বাড়িতে শাক সবজি চাষ, পশু পালনের আহবান জানান।তাছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হিমেল খান নিয়মিত বাজার মনিটরিং করার তাগিদ দেন।