English

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করে দিয়েছি

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করে দিয়েছি
জাতীয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগই প্রথম আইন করে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) স্বাধীন করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কমিশনকে স্বাধীন করে দিয়েছি। আর্থিক সচ্ছলতা এনে দিয়েছি।

সদ্য সমাপ্ত কাতার সফর নিয়ে সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, একটানা ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকার পরিচালনা করেছি। এর মধ্যে দেশে স্থিতিশীলতা রাখতে পেরেছি। এর মধ্যেও কিছু অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে। যেহেতু এত দীর্ঘ সময় ছিলাম, বাংলাদেশে ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, দেশে উন্নয়ন-অগ্রগতির স্থিতিশীলতার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রয়োজন। এখন আর ভোট কারচুপির সুযোগ নেই। আমরা ছবিসহ ভোটার তালিকা করে দিয়েছি। এনআইডি যুক্ত করা হয়েছে। ভুয়া ভোটার দিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ নেই। আমরা ইভিএমে ভোট করতে চেয়েছিলাম, অনেকে আপত্তি করেছেন। নির্বাচন কমিশন যতটা সম্ভব ইভিএম ব্যবহার করবে। ভোটাররা আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ভোট দেবেন।

দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে বজানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করে।

শেখ হাসিনা বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে যে উন্নয়ন হয় সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। অনেক সময় সমালোচনাও শুনতে হয়। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর আমরা সব উন্মুক্ত করে দিয়েছি। বিদেশে বসেও অনেকে আমাদের সমালোচনা করে। তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে সেই সুযোগ হয়েছে। আমরাই সেটা করে দিয়েছি। যে যাই বলুক, আমাদের আত্মবিশ্বাস ও কর্তব্যবোধ থেকেই আমরা উন্নয়ন করে যাবো।

তিনি বলেন, এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নয়নের ক্ষেত্রে যেতে অনেক দেশ দ্বিধায় থাকে। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলা করেও আমরা সে সুযোগটা নিয়েছি। সাময়িক সমস্যা হলেও আমাদের জনগণই সেটা মোকাবিলা করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। যাকে খুশি ভোট দেবে। আমরাই দেশে ভাত ও ভোটের আন্দোলন করেছি। জনগণকে দেওয়া কথা আমরা রেখেছি। করোনা মহামারি না এলে আমরা আরও এগিয়ে যেতাম। ইউক্রেন যুদ্ধ না থাকলেও আমরা আরও এগিয়ে যেতাম। তবে আমি হতাশ নই। আমি আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলি।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আমরা আশ্রয় দিয়েছি। ফলে তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্বও আছে। মিয়ানমারের সঙ্গে ঝগড়া করতে যাইনি, আমরা তাদের বলছি তাদের নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত নিতে। শুরুতে আমরা এককভাবে রোহিঙ্গাদের ভরণ-পোষণ দিয়েছি। আমরা চাই, রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যাক, সেখানে গেলে তাদের জীবন-জীবিকার সুযোগ হবে। রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য বোঝা। কিন্তু আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন আমাদের দেশের এক কোটি মানুষ ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছিল।