দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বিষয়ক লেসন লার্নড সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তরে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এমপি।
সেমিনারে সম্প্রতি দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পদক্ষেপ, পূর্বাভাসভিত্তিক সাড়াদান, আগাম প্রস্তুতি, সতর্ক সংকেত বিষয়ে আলোচনা করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, “সঠিক পর্যবেক্ষণের ফলে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সময় উপকূলীয় এলাকার ২৪লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া সম্ভব হয়েছিল৷ কিন্তু ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের গতিপথ বিক্ষিপ্ত থাকায় মাত্র সাড়ে ১০লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া গেছে। তাই দুর্যোগ মোকাবিলায় শুধু দেশীয় নয়, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।” এছাড়াও দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পূর্বাভাসভিত্তিক পর্যবেক্ষণ বাড়ানোরও আহ্বান জানান তিনি।
লেসন লার্নড সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আবদুল ওয়াহ্হাব। তিনি বলেন, যেকোন দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতিই মূল চাবিকাঠি। ঘূর্ণিঝড়সহ যেকোন দুর্যোগ ও জরুরী পরিস্থিতিতে সকল ধরণের সহায়তা দিতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সদা প্রস্তুত। সিত্রাং এর অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা ভবিষ্যতে দুর্যোগ মোকাবিলায় আরো সক্ষম হবো বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান এনডিসি ও বিডিআরসিএস’র ভাইস চেয়ারম্যান মো. নূর-উর-রহমান। এছাড়াও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরিন, সোসাইটির উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদ, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট ফেডারেশন (আইএফআরসি’র) হেড অফ ডেলিগেশন সঞ্জীব কুমার কাফলে, বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও বিডিআরসিএস’র বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে বক্তারা দুর্যোগ পূর্ববর্তী ও দুর্যোগ পরবর্তী যোগাযোগ ব্যবস্থা জোরদারে এবং সর্বোচ্চ ক্ষয়ক্ষতি অনুমান করে সে মোতাবেক উদ্যোগ নেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে সেচ্ছাসেবার মনোভাব বাড়াতে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী নীতিমালার খসড়া দ্রুত চূড়ান্তকরণে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয় সেমিনারে।