English

সুইডেন দূতাবাসের সাথে ওয়াটারএইডের চুক্তি

সুইডেন দূতাবাসের সাথে ওয়াটারএইডের চুক্তি
জাতীয়

বাংলাদেশে সুইডেন দূতাবাসের সাথে অংশীদারিত্বে ‘ওয়াশ ফর আরবান পুওর (ওয়াশফরআপ) প্রকল্প’ এর দ্বিতীয় ধাপ উন্মোচন করেছে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ। এই ‘ওয়াশফরআপ ফেজ ২ প্রকল্প’ দেশের নির্দিষ্ট কিছু শহরাঞ্চলের পরিবেশের সামগ্রিক অবস্থা ও এর টেকসই-সক্ষমতার উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করবে।

রোববার (৭ মে) রাজধানীর গুলশান ২-এ অবস্থিত সুইডেন দূতাবাসে এই প্রকল্পের চুক্তি সই হয়।

অনুষ্ঠানে সুইডেন দূতাবাসের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন এর হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ও ডেপুটি হেড অব মিশন, মারিয়া স্ট্রিডসম্যান এবং ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান।    

তিন বছর মেয়াদী প্রকল্পটি বিগত বছরগুলোয় ব্যবহৃত সর্বোত্তম অনুশীলনীগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করবে। প্রকল্পটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, পাইকগাছা, সখিপুর ও সৈয়দপুরে বাস্তবায়িত হবে। এর লক্ষ্য সমাজে পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং জলবায়ু-সহনশীল ও ওয়াশ কার্যক্রমে সকলের সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের সংশ্লিষ্ট সমস্যা লাঘব করা।

এ প্রসঙ্গে ওয়াটারএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর, হাসিন জাহান বলেন, ‘বাংলাদেশে ওয়াশফরআপ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য সুইডেন দূতাবাসের সঙ্গে আমাদের যৌথ প্রচেষ্টাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে পেরে আমরা আনন্দিত। বিভিন্ন সামাজিক সম্প্রদায়ের জন্য উন্নত পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) সুবিধা নিশ্চিত করা এবং এ প্রসঙ্গে সচেতনতা গঠনের লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টাসমূহের উল্লেখযোগ্য প্রভাব ইতোমধ্যেই পরিলক্ষিত হচ্ছে, এবং দেশের মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করতে এই অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।’

বাংলাদেশে সুইডেন দূতাবাসের হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ও ডেপুটি হেড অব মিশন মারিয়া স্ট্রিডসম্যান বলেন, ‘আমরা জানতে পেরে সন্তুষ্ট যে, ওয়াশফরআপ প্রকল্পের এই দ্বিতীয় ধাপ বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগণের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দেওয়া অব্যাহত রাখবে। এটি সে সকল নারীদের দুর্ভোগকে লাঘব করবে, যারা বছরের পর বছর ধরে দূর থেকে নিরাপদ পানি বয়ে আনার পরিশ্রমসাধ্য কাজটি করে চলেছেন। পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিরাপত্তা বস্তুত মৌলিক মানবাধিকার, আর আমাদের প্রকল্পের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো প্রত্যেকে– বিশেষ করে সামাজিকভাবে ঝুঁকির মধ্যে থাকা সম্প্রদায়ের সদস্যরা– উল্লেখিত অতিপ্রয়োজনীয় এই পরিষেবাগুলো পাচ্ছেন কিনা, তা নিশ্চিত করা।’