স্পোর্টস ডেস্ক
আধিপত্য বিস্তার করে পুরো সময়ই দাপট দেখাল আর্জেন্টিনা।
ফলাফলও নিজেদের করে নিল লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। ইউরোজয়ী ইতালিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে
লা ফিনালিসিমার চ্যাম্পিয়ন হলো কোপা আমেরিকাজয়ী আলবিসেলেস্তারা।
আর্জেন্টিনাকে লাওতারো মার্তিনেস এগিয়ে নেন। পরে
ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আনহেল দি মারিয়া। শেষ গোলটি করেন পাওলো দিবালা। তবে পুরো
ম্যাচে অসাধারণ খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন লিওনেল মেসি।
এনিয়ে নিজেদের ইতিহাসে রেকর্ড টানা ৩২ ম্যাচ অপরাজিত
রইল আর্জেন্টিনা। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে কোনো ম্যাচ হারেনি তারা। তাদের আগের
রেকর্ড ছিল ৩১ ম্যাচের, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ সালের মধ্যে করেছিল তারা।
বুধবার রাতে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ফিনালিসিমায়
মাঠে গড়ায়। যেখানে দক্ষিণ আমেরিকার শিরোপাজয়ী ও ইউরোপ সেরারা মুখোমুখি হয়।এদিন
ম্যাচের শুরুটা অবশ্য হালকা মেজাজে হয়। তবে সময় গড়াতেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে আর্জেন্টিনা।
খেলার ২৫তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো দলটি। লিওনেল মেসির শট প্রতিহত হওয়ার তিন
মিনিট পর আবারও তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন ইতালি গোলরক্ষক।
কিন্তু ২৮ মিনিটেই লিড নেয় আর্জেন্টিনা। মার্তিনেস গোল
পেলেও পুরো কৃতিত্ব মেসির। বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়ে দারুণ এক পাস দেন
পিএসজি তারকা। পরে সেখান থেকেই হালকা টোকায় বাকি কাজ সারেন মার্তিনেস।প্রথমার্ধের
অতিরিক্ত যোগ করা প্রথম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয় আর্জেন্টিনার। লাওতারো
মার্তিনেস থেকে বল পেয়ে যান দি মারিয়া। বক্সে ঢুকে এই তারকা চিপ শটে গোলরক্ষকের
মাথারও ওপর দিয়ে জালের দেখা পান।
বিরতির পরও আক্রমণের ধারা বজায় রাখে আর্জেন্টিনা। শুরু
হতেই আরও কয়েকবার ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা ছিল দলটির সামনে। বিশেষ করে ৬৯তম মিনিটে
মেসিকে আরও একবার হতাশ করেন ইতালি গোলরক্ষক দোন্নারুম্মা। মেসির জোরাল শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন তিনি। এরপর সাতবারের
ব্যালন ডি’অর জয়ীর আরও কিছু শট থেকে গোল আসেনি।
যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে তৃতীয় গোলের দেখা পায়
দুইবারের বিশ্বকাপজয়ীরা। মেসির থেকে বল পেয়েই হ ভেতরে ঢুকে নিচু কোনাকুনি শটে
লক্ষ্যভেদ করেন বদলি নামা দিবালা।এদিকে আগেও দুবার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন ও কোপা
আমেরিকা জয়ীর মধ্যে এমন ম্যাচের আয়োজন হয়েছে। যেখানে ১৯৮৫ সালের প্রথম ম্যাচে
উরুগুয়ের বিপক্ষে ফ্রান্স জিতেছিল ২-০ গোলে আর ১৯৯৩ সালে ডেনমার্কের বিপক্ষে ১-১
ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে জয়োল্লাস করেছিল আর্জেন্টিনা।
ইতালির অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার জর্জো কিয়েল্লিনির শেষটা ভালো
হলো না। এই ম্যাচ দিয়েই আজ্জুরিদের হয়ে ১১৮ ম্যাচের সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারের ইতি
টানলেন তিনি।