৯৭৪ স্টেডিয়াম গ্যালারি শুরু থেকে ‘নেইমার নেইমার’ স্লোগান। নেইমার ও নেইমারহীন ব্রাজিল যে অনেক পার্থক্য সেটা প্রমাণ করতে সেলেসাওরা সময় নেয়নি খুব একটা৷ প্রথমার্ধেই ব্রাজিল ৪-০ গোলের লিড৷ ম্যাচের পরের অর্ধ ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা৷ সে আনুষ্ঠানিকতাটা যখন সেরেছে, তখন ব্যবধানটা কমে ৪-১ হয়েছে। তবে তাতে ব্রাজিলের দাপটের দৃশ্যটা বদলে যায়নি একটুও। গোল আর নাচের ছন্দে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলে নেইমারের ব্রাজিল।
পাঁচ বারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দলটি এই ম্যাচের আগে বেশ চাপে ছিল। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ক্যামেরুনের বিপক্ষে হেরেছিল তিতের দল। সেই হার যে দল বিশ্রামের ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণে ছিল সেটা প্রমাণ করতে আজ বড় জয়ই দরকার ছিল। তিতের ব্রাজিল শুধু বড় ব্যবধানে জিতেইনি, দর্শকদের মনও জয় করেছে।
ম্যাচের প্রথম ৪৫ মিনিট ব্রাজিল নান্দনিক ফুটবল খেলেছে। কোরিয়ার বক্সে ছোট ছোট একাধিক পাস খেলেছে। প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে বলে কয়ে ভেঙেছে। ভিনিসিয়াস জুনিয়র গোলের যাত্রা শুরু করেন। এর পরের গোলটি হয়েছে পেনাল্টি থেকে। নেইমারের পেনাল্টিতে গোল হওয়ার পর ৯৭৪ স্টেডিয়ামে ব্রাজিলের উৎসব। মনে হলো খেলাটা কাতারে নয়, হচ্ছে ব্রাজিলে।
ব্রাজিলের ফুটবলের অন্যতম উদ্দেশ্য নান্দনিকতা। সেই নান্দনিক গোল উপহার দিলেন রিচার্লসন। এই গোল দর্শকদের মতো হৃদয় ছুঁয়েছে কোচ তিতেকে। ডাগ আউটে নেচেছেন তিনিও৷ নেইমাররা বল নিয়ে অনুশীলনের পাশাপাশি নাচেরও অনুশীলন করেছে৷ চার বাররা নেইমাররা নেচেছেন ও দর্শকদের নাচিয়েছেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও ব্রাজিলের আক্রমণ। তবে এই অর্ধে কোরিয়ানরা আক্রমণ করে। ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এলিসন বেকার ২ টি নিশ্চিত গোল সেভ করেন। কোরিয়ানরা ফ্রি কিক থেকে একটি গোল আদায় করে। সেই গোল ম্যাচের গতি পরিবর্তনে যথেষ্ট ছিল না।
নেইমার ইনজুরির জন্য ২ ম্যাচে ছিলেন না। সেই দুই ম্যাচে ব্রাজিল এত উজ্জ্বল ছিল না। আজ ব্রাজিল শুরু থেকেই ছন্দে। নেইমারকে ৮০ মিনিটের বেশি সময় খেলিয়েছেন তিতে। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টারে সেরা অস্ত্রকে খানিকটা বিশ্রামে রাখলেন ব্রাজিলের কোচ৷