English

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরে দলীয় মনোনয়নের জন্য মাঠে নামলেন যারা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরে দলীয় মনোনয়নের জন্য মাঠে নামলেন যারা
সারাদেশ ঢাকা

 এস.এম আকাশ, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি:

ফরিদপুরে ৯টি উপজেলা নিয়ে গঠিত ৪টি সংসদীয় আসন। এই ৪টি সংসদীয় আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী একাধিক প্রার্থীসহ মাঠে রয়েছেন বিএনপির ও অন্যান্য প্রার্থীরা। এর মধ্যে বড় দুই দলেরই নেতারা তাদের দলীয় মনোনয়ন বাগিয়ে নেওয়ার জন্য জনপ্রিয়তা অর্জনের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। কেউ কেউ একে অন্যকে টেক্কা দিয়ে মনোনয়ন বাগিয়ে নিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন। আবার কেউ কেউ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেতে সকাল থেকে রাত অব্দি ভোটারদের দারে দারে গিয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নানা উন্নয়ন কাজের প্রচারণা করে আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের পক্ষে ভোট চাচ্ছেন।  এর মধ্যে ফরিদপুর সংসদীয়-১আসনে রয়েছেন বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সহ-সভাপতি ও সমাজ সেবামূলক সংস্থা কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান দোলন। তিনি অসংখ্য দলীয় নেতাকর্মী সাথে নিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের  দারে দারে গিয়ে আওয়ামীলীগ সরকারের নানা উন্নয়ন কাজের প্রচারণা চালিয়ে আগামীতে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন। এই আসনের অনেকের ধারনা আওয়ামীলীগ দোলনকেই মনোনয়ন দেবেন। এই আসনে আরও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক। তিনিও গণসংযোগ করে সাধারণ মানুষের অতি আপন হয়ে উঠেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে তিনিও আলোচনায় রয়েছেন। আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপকমিটির সাবেক সদস্য ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সৈয়দ শামীম রেজা। আলোচনায় রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী সিরাজুল ইসলাম। আলোচনায় রয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার। আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন আব্দুর রহমান। গণসংযোগ করে আলোচনায় রয়েছেন দৈনিক নবচেতনা পত্রিকার সম্পাদক লায়ন মো. সাখাওয়াত হোসেন। অলোচনায় রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ মাস্টারের সুযোগ্য সন্তান আব্দুল্লাহ আল মামুন। আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মঞ্জুর হোসেন বুলবুল। আলোচনায় রয়েছেন হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান দিলীপ রায় প্রমুখ।

এ ছাড়া গুঞ্জন রয়েছে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া। এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর। এ ছাড়া কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলাম।

ফরিদপুর সংসদীয়-২ আসনে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অসুস্থ্য রোগীসহ সকল অসহায়, গরীব দুঃখী মানুষকে সার্বিক সাহায্য ও সহযোগিতা করে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি আব্দুস সোবহান। এই আসনের অধিকাংশ ভোটাররা আব্দুস সোবহানের পক্ষে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন আশা করেন। এই আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রাপ্তির তালিকায় আরও রয়েছেন সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী। ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও ফরিদপুর -২আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল। নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মো. জামাল হোসেন মিয়া। এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ রিংকু।

ফরিদপুর সদর-৩ আসনে আলোচনায় রয়েছেন একাধিক নতুন মুখ। এরমধ্যে ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ও হামীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে আজাদ তিনিও পবিত্র রমজান মাসজুড়ে তার নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুর সদর আসনের গরীব অসহায় মানুষের মাঝে প্রতি বছরের ন্যায় মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর পক্ষে ঈদ উপহার বিতরণ করে ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন। ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের কোষাদক্ষ ও এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি বিশিষ্ট সমাজ সেবক সিআইপি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, তিনিও ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন। আলোচনায় রয়েছেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শামিম হক। আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা বিপুল ঘোষ, তিনি আওয়ামীলীগের দুর্সময়ে দলের জন্য অনেকবার জেলখেটেছেন। এই আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে নির্বাচন করার ঘোষনা দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ন্যাশনাল সিনেট এর সদস্য এম.এ মুঈদ হোসেন (আরিফ)।

এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মাহাবুবুল হাসান ভূইয়া পিংকু, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির সাবেক মন্ত্রী মরহুম কামাল ইবনে ইউসুফ এর মেয়ে চৌধুরী নায়াবা ইউসুফ।

ফরিদপুর (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) সংসদীয় ৪ আসনে  বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। তবে বিগত দুটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী কাজী জাফরউল্লাহ হেরে যান স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর কাছে। আওয়ামী লীগ কিংবা অঙ্গ সংগঠনের কোনো পদে না থেকেও দুই দুইবার বিজয়ী হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নিক্সন চৌধুরী। বর্তমানে তিনি আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। এবার তিনি আওয়ামী লীগ থেকেই মনোনয়ন চাইবেন- এমনটি তিনি একাধিক সভা-সমাবেশে বলেছেন। এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি কাজী জাফরউল্ল্যাহ। এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা জহুরুল হক শাহাজাদা মিয়া, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি শাহারিয়া ইসলাম শায়লা, কৃষকদলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলমগীর কবির।

জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ ফরিদপুরের এই চারটি আসনই দখল করে রেখেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় জনগণ আওয়ামীলীগকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন বলে আশা করছেন আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

এদিকে ফরিদপুর জেলা বিএনপির নেতারা জানান, বিএনপি বর্তমানে নির্বাচন নিয়ে কোনকিছু ভাবছে না। বিএনপির প্রধান ভাবনা হচ্ছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সড়ানো। তারা বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি অবশ্যই অংশ গ্রহণ করবে এবং ৪টি আসনেই তাদের প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবে। সম্প্রতি জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর থেকেই নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে রয়েছেন দলের নেতারা। বিএনপিকে রাজপথে মোকাবিলার পাশাপাশি আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোটের রায় তাদের অনুকূলে আনতে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছেন দলীয় নেতারা। অন্যদিকে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি ভিতরে ভিতরে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপি।

দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এলাকায় থেকে দলীয় কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক, মতবিনিময় সভা করছেন। দীর্ঘ এক যুগ পর ঘোষণা করা হয়েছে ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি। যদিও এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি দলটি। তার পরও সরকার পতনের আন্দোলনের পাশাপাশি ভিতরে ভিতরে দলের নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন নেতারা।

ফরিদপুর-১ (মধুখালী-বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা) এ আসনটি মূলত আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। বিগত দিনের নির্বাচনগুলোয় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন এ আসন থেকে। এ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থীসহ অনেক নতুন মুখ রয়েছেন।

ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা-কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন) এই আসনটি দুটি উপজেলা ও একটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর কনিষ্ঠ পুত্র শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী, নতুন মুখ হিসেবে ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি কাজী আব্দুস সোবহান। জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া। কাজী আব্দুস সোবহান এলাকায় বিভিন্নভাবে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া। সেই সময় তার পক্ষে এ আসনের বেশির ভাগ নেতা-কর্মী সমর্থন দিয়েছিলেন। পরে দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে জামাল হোসেন মিয়া মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। আগামী নির্বাচনে তিনি দলের পক্ষে মনোনয়ন চাইবেন বলে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ঘোষণা দিয়েছেন।

এ ছাড়া এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মেজর (অব.) আ ত মা হালিম, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক এমপি সাইফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ইউসুফ মিয়া। বিএনপি থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে মাঠে রয়েছেন দলের সাবেক মহাসচিব প্রয়াত কে এম ওবায়দুর রহমানের কন্যা, বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ রিংকু,  জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল। বিএনপির এ দুই শীর্ষ নেতা এলাকায় থেকে নানা কর্মসূচি পালন করছেন।

ফরিদপুর-৩ (সদর) : এ আসনটি সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের নির্বাচনগুলোয় এ আসনটি বিএনপির দখলে ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনে এটি আওয়ামী লীগের দখলে চলে যায়। বর্তমানে এ আসনটিতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নানা নাটকীয়তা চলছে। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি এখন দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। দীর্ঘ আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে তিনি রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছেন। তার সংসদ সদস্য পদটিও রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

ফরিদপুর (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) সংসদীয় ৪ আসনে আওয়ামীলীগ বিরোধী  একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা জহুরুল হক শাহাজাদা মিয়া, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি শাহারিয়া ইসলাম শায়লা, কৃষকদলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলমগীর কবির, ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলমগীর কবির। জাতীয় পার্টি (এরশাদ) থেকে নির্বাচন করতে মাঠে রয়েছেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগরের সহসভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন।

এছাড়াও ফরিদপুরের এই ৪টি আসনে পুরানো প্রার্থীদের পাশাপাশি বড় দুই দলেরই একাধিক নতুন প্রার্থী নিজেকে জানান দেওয়ার জন্য মাঠে নেমেছেন। এদেরকে অনেকেই অতিথি পাখির সাথে তুলনা করছেন।

 

ডিসিটি/ঢাকা/এসএমএ/ফপ/শেষ