বৃষ্টি আর উজানের ঢলে যমুনায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সিরাজগঞ্জে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। এনায়েতপুরে একের পর এক বিলীন হচ্ছে বসতঘর, ফসলি জমি। এদিকে, কুড়িগ্রামের রৌমারীতে আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দি ৩৫ হাজার মানুষের দুর্ভোগ চরমে। সুনামগঞ্জেও বেড়েছে নদ-নদীর পানি। তলিয়েছে নিম্নাঞ্চলের সড়ক।চোখের সামনেই পৈত্রিক ভিটা গিলে খাচ্ছে আগ্রাসী যমুনা। একের পর এক নদীতে বিলীন হচ্ছে তিলে তিলে গড়ে তোলা বসতবাড়ি। গত কয়েকদিনে যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গ সঙ্গে বেড়েছে ভাঙনের তীব্রতা।
সিরাজগঞ্জের খুকনি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রামের প্রায় অর্ধশত বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন খোলা আকাশের নিচে। একইসঙ্গে ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে নদীপাড়ের মানুষের। এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়ায় ভাঙন অব্যাহত আছে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের।
গবাদি
পশু নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন কুড়িগ্রামের অসহায় পানিবন্দি মানুষ। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পানি বেড়েছে উত্তরের এ জেলার নদ-নদীতে। দুকূল উপচে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বসতবাড়িতেও হাঁটু পানি। দুর্ভোগ চরম পৌঁছেছে বানভাসি মানুষের। বানের পানি ওঠায় ২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
উজানের ঢলে সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি বাড়ছে হু-হু করে। সুরমার পানি ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া যাদুকাটা, রক্তি, বৌলাইসহ পুরাতন সুরমা নদীতে পানি প্রবাহ বেড়েছে। পাহাড়ি ঢলে তাহিরপুর-বিশ্বম্ভরপুর সড়কের শক্তিয়ারখলা এলাকায় সড়ক নিমজ্জিত হওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে,
বৃষ্টি
আর উজান থেকে নেমে ঢলের কারণে খুলে দেয়া হয়েছে তিস্তা ব্যারেজের সবগুলো জলকপাট। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি প্রস্তুত রয়েছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড।