আশীষ সাহা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
নিপাহ ভাইরােস সংক্রমিত হয়ে আমাদের দেশে অসুস্থ হয়েছে জানুয়ারি ২০২৩ সালে ৮জন তার মধ্যে ৫জন মারা যায়। ২০২২ সালে আক্রান্ত ছিল মাত্র ৩ জন যার মধ্যে ২জনই মৃত্যু বরন করেন।
এই রোগের fatality Rate about 71%. এই রোগটি ছড়ায় মুলতঃ বাদুড়ের লালা ও প্রস্রাবের মাধ্যমে। শীত কালীন সময়ে খেজুরের রস খাবার সময় বাদুড় রসের মধ্যে লালা ও প্রস্রাব মিশ্রিত করে।যা আমাদের দৃষ্টিকোণের বাইরে থাকে। আমরা IEDCR এর পক্ষ থেকে এই রোগ কিভাবে হয় এবং প্রতিরোধ কি ভাবে করা যায় তা নিয়ে সাংবাদিক ও অন্যান্য মিডিয়ার সাথে মতবিনিময় করি যাতে দেশের মানুষ সচেতন হয়। আর দেখা যায় প্রতিবছর শীত সিজনে গ্রাম গঞ্জের মেতে উঠে খেজুরের রস খাওয়ার জন্য দলবদ্ধ ভাবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী মহোদয় মন্ত্রনালয়ে এই বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই রোগের কোন vaccine নেই এবং Treatment ও challenge. প্রতিরোধই উত্তম ব্যবস্হা। আমরা খেজুরের রস ফুটিয়ে পান করি, অর্ধেক.. পাখি খাওয়া ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকি। কাঁচা রস খেয়ে সেলফি তোলা এবং আবাহ মান বাংলার সংস্কৃতির নাম দিয়ে খেজুরের কাঁচা রস দিয়ে প্রোগ্রাম থেকে বিরত থাকি।
ডাঃ মোঃ শাহ আলম আরও বলেন,দেশে নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। আমাদের সকলেই এই ভাইরাসের বিষয়ে সজাগ থাকার বিশেষভাবে প্রয়োজন।
২২ বছরে নিপাহে মৃত্যু ৭১ শতাংশ ‘নিপাহ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক নেই। কোনো ভ্যাকসিননেই, ওষুধও নেই। সিম্পটমেটিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। যেভাবে আমরা করোনার চিকিৎসা দিয়ে আসছিলাম।আমাদের সজাগ থাকতে হবে। কাঁচা খেজুরের রস মোটেই পান করা যাবে না।যে ফল কোনো পাখি বা জন্তুতে খেয়েছে, সেগুলোও খাওয়া যাবে না।