শূন্য থেকে শিখরে। হার্দিক পান্ডিয়ার আইপিএল ক্যারিয়ার
যেন এই কথাটির সমার্থক। ২০১৪ আইপিএলে কোনো দল না পাওয়া এক ক্রিকেটারের হাতে ৮ বছর
পর উঠল আইপিএল শিরোপা। সেটিও নতুন এক দল গুজরাট টাইটানসের অধিনায়ক হিসেবে।
নবাগত হলেও গুজরাটের চ্যাম্পিয়ন হওয়া কোনো অঘটন নয়। টুর্নামেন্টের
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপট দেখিয়ে বাজিমাত করেছে আহমেদাবাদের এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
শিরোপা জয়ে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে একটা দল হয়ে খেলতে পারা। শুধু মাঠে নয়, মাঠের
বাইরেও দারুণ বোঝাপড়া ছিল খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের মধ্যে। এ নিয়ে দলের পরামর্শক গ্যারি
কারস্টেন বলেছেন, ‘আমরা দলে সঠিক ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করেছিলাম। আশিস নেহরা (প্রধান
কোচ) দারুণভাবে দলকে পরিচালনা করেছে। হার্দিক পান্ডিয়াও অধিনায়ক হিসেবে দুর্দান্ত।’
বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্বের সঙ্গে পান্ডিয়া নিজেও ব্যাটে
বলে পারফর্ম করেছেন টুর্নামেন্টজুড়ে। ফাইনালেও তিনিই দিয়েছেন তুলির শেষ আঁচড়। তবে
গুজরাটের সাফল্যের বড় প্রভাবক ছিল তাদের বোলিং বিভাগ। আরও নির্দিষ্ট করে বললে
মাঝের ওভারগুলোয় প্রতিপক্ষের রানের লাগাম টেনে ধরা। এই ওভারগুলোয় রশিদ খান, মোহাম্মদ
শামিরা রান দিয়েছেন গড়ে ৮-এরও কম। পুরো টুর্নামেন্টেই দারুণ ছন্দে ছিলেন এই বোলার।
১৬ ম্যাচে শামি নিয়েছেন ২০ উইকেট আর রশিদের শিকার ১৯ উইকেট। পান্ডিয়ার দলের
সাফল্যের আরেক মন্ত্র ব্যাটিং লাইন আপের গভীরতা। আর মিডল অর্ডার ব্যাটারদের নিয়মিত
ভালো করা। এটা তাদের রান তাড়া করতে সহায়তা করেছে। সব মিলিয়ে ফাইনালসহ ৮টি ম্যাচ
গুজরাট জিতেছে রান তাড়া করে। এর মধ্যে ৭টিতেই জিতেছে শেষ ওভারে। রান তাড়ায় তারা
হেরেছে মাত্র ১ ম্যাচে। ফাইনালসহ যে ১২ ম্যাচে গুজরাট জিতেছে সেখানে আলাদা আলাদা
ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন ৯ ক্রিকেটার। এই তথ্যটিও দলের গভীরতা বোঝাতে
যথেষ্ট।