বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ (ডিএসএ) প্রতিস্থাপন করতে প্রস্তুত ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট (সিএসএ) ২০২৩’ প্রসঙ্গে অংশীজনের মতামত নেওয়ার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সেই সঙ্গে এও জানিয়ে সতর্ক করা হয়েছে, নতুন আইনটিতে আগের মতো যেন দমনমূলক ধারাগুলো পুনর্ব্যক্ত না হয়। সংস্থাটির মতে, সিএসএ’র প্রাথমিক খসড়া পর্যালোচনায় দেখা গেছে, তাতে আগের আইনের মতো দমনমূলক ধারাগুলো রয়েছে, যা ব্যক্তির বাকস্বাধীনতার অধিকারকে হুমকি ও সীমিত করার লক্ষ্যে ব্যবহার করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আইন শাখার উপসচিব মো. ইউসুফের কাছে এ সংক্রান্ত একটি বার্তা পাঠিয়েছে সংগঠনটি।
সংগঠনটি বলেছে, যখন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট ঘোষণা করা হয়েছিল তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে বাতিল করার কারণে আমরা সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলাম। কিন্তু সতর্ক করেছিলাম যে সিএসএ যেন অবশ্যই ডিএসএর মতো দমনমূলক না হয়।
সংস্থাটির মতে, সিএসএর প্রাথমিক খসড়া পর্যালোচনায় দেখা গেছে তাতে আগের আইনের মতো দমনমূলক ধারাগুলো রয়েছে, যা ব্যক্তির বাক্স্বাধীনতার অধিকারকে হুমকি ও সীমিত করার লক্ষ্যে ব্যবহার করা হয়েছিল।
সংস্থাটি আরও জানায়, খসড়া আইনে আমরা দেখা গেছে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টটিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দমনমূলক বিধানগুলোকে ধরে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ গ্রেপ্তার, তদন্ত এবং বিচারের আগে আটকের ব্যাপক ক্ষমতাসহ ওভারব্রড অপরাধ, যা ক্রমাগতভাবে হুমকি এবং কার্যক্রম (বাক স্বাধীনতা) সীমাবদ্ধ করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে সকলের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশের বিভিন্ন ইস্যুতে বিবৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।