English

পাহারা দিয়েও আন্দোলন ঠেকাতে পারবেন না: ফখরুল

পাহারা দিয়েও আন্দোলন ঠেকাতে পারবেন না: ফখরুল
রাজনীতি

যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারে না, সেই নির্বাচনে বিএনপি যাবে না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, পাহারা দিয়ে আন্দোলন ঠেকাতে পারবেন না। পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না। সরকারের পদত্যাগের দাবি সারা দেশে ছড়িয়ে গেছে। একটাই দাবি, এই মুহূর্তে সরকারের পদত্যাগ।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। বিকেল সাড়ে চারটায় রাজধানীর গোপীবাগ থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রাটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নয়াবাজারে গিয়ে শেষ হবে। এতে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ঘটনায় প্রমাণ করে এই সংবিধান দিয়ে দেশের সমস্যার সমাধান হবে না। তাই বিএনপি সংবিধান সংশোধনের কথা বলছে।

ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশে গণলুট চলছে। আওয়ামী লীগ বর্গির দল। এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। গণতন্ত্রের সংগ্রামে জয়ী হবোই। আর সময় নেই, এখনই জেগে উঠতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ অসহায়। কোথাও শান্তি নেই। সাধারণ মানুষ গরীব হচ্ছে, আওয়ামী লীগের নেতারা ফুলে ফেঁপে উঠছেন। এমন উন্নয়ন দেশে যে মানুষ এখন গ্যাস, বিদ্যুৎ পায় না।

ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, র‌্যাবের মতো পুলিশকে ব্যবহার করছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা, বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে। নেতাদের জেলে পাঠিয়েও বিএনপিকে আটকে রাখতে পারছে না।

তিনি বলেন, নিজেদের ব্যর্থতায় আওয়ামী লীগ দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র সম্মেলনে দাওয়াত পায় না।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ মূলত সন্ত্রাসী দল। জনগণের ভোটে নয়, সবসময় ভয় দেখিয়ে, ত্রাস সৃষ্টি করে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ। বিদেশিদের কাছে আওয়ামী লীগের কথায় (দেওয়া বক্তব্যে) ঘোড়াও হাসে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য লড়াই করছে না। বিএনপি জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে। প্রতিবেশী দেশের কিছু লুটেরার সঙ্গে আঁতাত করে বাংলাদেশকে লুট করছে কিছু লোক।

আওয়ামী লীগকে নয়, দেশের জনগণকে সমর্থন দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, অন্যথায় হিতে বিপরীত হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি ও জনগণের কথা এক, সরকারের পদত্যাগ। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। তিনি বলেন, ভোট ও জনগণের ওপর বিশ্বাস করলে অরাজকতা সৃষ্টি না করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পদক্ষেপ নেন। অন্যথায় দায় নিতে হবে সরকারকে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য আমি খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামী দিনে আরও বড়, তীব্র আন্দোলনে সরকারের পতন ঘটাতে হবে। বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলো ঢাকায় এসে বার্তা দিয়ে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে কোনো স্বীকৃতি দিচ্ছে না বিশ্ব। গণতন্ত্র সুসংহত করার নকশা নয়, ধ্বংস করার নকশা করছে সরকার। দেশের বাইরেও ফ্যাসিস্ট সরকারের দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে বাংলাদেশ।

ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, এই আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলন। আরও সাহসী হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম অভিযোগ করেন, নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে পুলিশ বাণিজ্য শুরু করেছে। জামিনে থাকার পরও পুরোনো মামলায় আসামি করা হচ্ছে।